ডেঙ্গু, গুজব-নৃশংসতা,বন্যা- সব মিলিয়ে ভালো নেই মানুষ। তার ওপর গ্যাসের দাম বৃদ্ধি- জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে নির্দিষ্ট আয়ের নাগরিকরা।
তারা বলছেন, সব ছাপিয়ে এক প্রকার আতংক কাজ করছে মনের মধ্যে। “মরার ওপর খাড়ার ঘা” হিসেবে যুক্ত হয়েছে দায়িত্বশীলদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা, যা আরও ক্ষুব্ধ করছে মানুষকে। তাদের পরামর্শ, মন্ত্রী-মেয়রদের কথা আর আশ্বাসের দিন শেষ, এখন দেখাতে হবে কাজ।
দৈনিক কতজন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, সেই রেকর্ড ভাঙছে রোজই। কিন্তু জানা নেই, হাসপাতালে ভর্তির সুযোগই মিলছে না কতজনের? ভোগান্তি-কষ্ট আর দুর্ভাবনার পরিমাপক তো নেই, তাই জীবন দিয়েই সেসব উপলব্ধি করছে মানুষ।
সরকার বলছে, এখনো ডেঙ্গু মহামারী না। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আর এর ফলে মারা গেলেন কতজন, ভয়ংকর সেই সব ঘটনা- কেবলই কি সংখ্যা হয়ে গেল নীতিনির্ধারকদের কারো কারো কাছে?
গত ২৫ জুলাই দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ছেলেধরা গুজব আর ডেঙ্গু নিয়ে কল্পসংখ্যা একই সঙ্গে সূত্রে গাঁথা।
এমন বক্তব্যে কেবল হতাশ না, রীতিমত ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী মানুষ। তারা বলছেন, পরিস্থিতি না বুঝে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার চূড়ান্ত করছেন কেউ কেউ।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া কয়েকজন জানান, মেয়র যা বলেছেন সেটি মিথ্যা। আমরা কি শুধু শুধু এখানে এসে শুয়ে আছি।
ডেঙ্গুর সাথে সাথে আছে গুজবের ঘনঘটাও। সেটিকে কেন্দ্র করে দিনে দুপুরে রাজধানীতেই নিরপরাধ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নারী আর শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ এমনকি হত্যার ঘটনা তো আছেই। সব মিলিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দিনকে দিন।
এদিকে, শহরে যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ, তখন বন্যায় ভাসছে দেশের অন্তত ২৪ জেলা। এতে মারাত্মকভাবে ফসল আর সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষের জীবন মরণ সমস্যা তো আছেই। আর গ্যাসের বাড়তি দামসহ নানা অজুহাতে হু হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম।
তবুও আশায় বুক বাঁধে মানুষ। তাদের বিশ্বাস কাটবে সব সংকট। সেই সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন নীতিনির্ধারকরা।
Leave a reply