স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ইরানের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও তেহরানের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আলী নাজাফিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
মঙ্গলবার ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরের বরাতে আল-আরাবিয়া এমন তথ্য দিয়েছে।
বিচারবিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেন ইসমাইলি বলেন, রাজধানীতে স্ত্রী মিত্রা ওস্তাডকে গুলি করে হত্যার দায়ে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে এটাই চূড়ান্ত না, রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আগামী ২০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
আদালত এটাকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
গত মে মাসে দেশটির সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্টকে আটক করা হয়েছে। তখন তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।
মিত্রা ছিলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। গৃহবিবাদের দরুন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
২০১৮ সালে মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে তরুণীদের সঙ্গে তার নাচের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় কট্টরপন্থীদের সমালোচনার মুখে পড়েন নাজাফি।
শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানে বন্দুক সহিংসতা একেবারেই বিরল। বিশেষকরে দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অভিজাতদের মধ্যে এমন ঘটনা হয় না বললেই চলে।
নাজাফি একজন গণিতবিদ, অধ্যাপক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ। এর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৭ সালে তিনি তেহরানের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু স্কুলশিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর সমালোচনার মুখে পরের বছরেই পদত্যাগ করেন।
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার পর মিত্রা ওস্তাডকে বিয়ে করেন তিনি। ইরানে বহুবিবাহ বৈধ হলেও সামাজিকভাবে হেয় চোখে দেখা হয়।
Leave a reply