বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ পার হলেও এখনো জমা পড়েনি পারফরমেন্স রিপোর্ট। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা কোচ, ম্যানেজার ও হেড অব ডেলিগেশনের। কিন্তু ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন, হেড অফ ডেলিগেশন আকরাম খান এবং কোচ স্টিভ রোডস সেই রিপোর্ট জমা দেননি। যার কারণে তাদের রিপোর্ট ছাড়াই শনিবার বোর্ড সভায় মুল্যায়ন করা হয় বিশ্বকাপ পারফরমেন্স।
এদিকে শ্রীলঙ্কায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের হোটেলের বাইরে থাকা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। গভীর রাতে ক্যাসিনোতে থাকা খালেদ মাহমুদের ছবি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কলম্বোয় বোমা হামলার পর প্রথম দল হিসেবে দেশটি সফর করছে বাংলাদেশ। ভিভিআইপি নিরাপত্তা বেষ্টনিতে থাকছেন খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্টরা। ব্যবহার করছেন বুলেট প্রুফ গাড়ি আর সাথে থাকছে সশস্ত্র সেনা। প্রশ্ন জাগতেই পারে এমন বলয়ের মাঝে ম্যাচ শেষে গভীর রাতে ক্যাসিনোতে কীভাবে গেলেন দলের প্রধান কোচ? কোনো দুর্ঘটনা হলে তার দায় কে নিতো?
এর মধ্যে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, দলে সাকিব/রিয়াদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের মধ্যেও নাকি দ্বন্দ্ব আছে। অসহায় বিসিবি সভাপতি মাস পেরিয়ে গেলেও জানেন না- কীভাবে পাঁচদিনের ছুটি দেয়া হলো কিংবা পাকিস্তানের বিপক্ষে কীভাবেই বা বদলে গেলো একাদশ। অথচ উত্তরগুলো থাকবার কথা ছিলো ম্যানেজারের রিপোর্টে।
এ বিষয়ে বিসিবি’র মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, রিপোর্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে গেছে দল, হয়তো তারা সময় পায়নি। আমরা তাদের কাছে রিপোর্ট চাইবো।
Leave a reply