মশার কামড়ে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। এর স্বাভাবিক পরিণতিতে এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু রোগ। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে রোগটির প্রকোপ ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এখনও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। বিশেষ করে ডেঙ্গুর উৎস মশা নিধনে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম নেয়া হয়নি। এমন উদাসীনতার কারণে উচ্চ আদালত সিটি করপোরেশনগুলোকে একাধিকবার তিরষ্কার করেছে গত কয়েকদিনে।
এসবের পরও পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে না। করপোরেশন ও স্থানীয় কাউন্সিলররা মানুষের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। এমতাবস্থায় অসহায়বোধ করছেন নাগরিকরা। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে রাজধানীর মিরপুরের এক বাসিন্দার থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার ঘটনা থেকে।
মিরপুর পল্লবী এলাকার ওই স্থায়ী বাসিন্দা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তার শঙ্কা, নিজের বা পরিবারের সদস্যদের যে কোনো যে কোনো সময় ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এই উদ্বেগ নিজের এলাকার কাউন্সিলরকে জানালেও তাতে মোটেও মনোযোগ দেননি ওই জনপ্রতিনিধি। এরপর আর কোনো উপায় না দেখে থানায় গিয়ে লিখে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানালেন।
গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ তার অভিযোগকে জিডি আকারে গ্রহণ করেছে। জিডিতে ইউসুফ আহমেদ নামের ওই ব্যক্তি লিখেছেন, “আমি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২ নং ওয়ার্ডের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমি নিয়মিত আমার বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করে আসছি। সেই হিসেবে সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা আমার প্রাপ্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি বর্তমান কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে আমরা পাচ্ছিনা। আমার এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও কালসী প্রধান সড়কে আমার বাসার আশেপাশে তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর একদিনের জন্যও মশার ওষুধ ছিটানো হয়নি। ফলে মশার অত্যাচারে আমার বাসার সদস্যরা অস্থির। আমি বিষয়টি কাউন্সিলরের মোবাইলে কল করে অবগত করলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এই অবস্থায় যে কোনো সময় আমার বাসার সদস্যরা মশা-বাহিত যে কোনো ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিষয়টি থানাকে অবহিত করে ডায়েরিতে নথিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।”
Leave a reply