বিগত কয়েক বছর ধরে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অত্যাধুনিক মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি ও কেনা নিয়ে বেশ দ্বন্দ্ব চলছিল। এই যৌথ প্রকল্পের অংশীদার হওয়া সত্ত্বেও তুরস্ককে যুদ্ধবিমানটি না দেয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়।
কারণও দেখানো হয় কেন এটি আঙ্কারাকে দিলে সমস্যা। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ দেখা হয়েছে, রাশিয়া থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনা।
ট্রাম্প প্রশাসনের অনেকের দাবি, রাশিয়ান অত্যাধুনিক একটি প্রযুক্তির পাশাপাশি মার্কিনীদের সর্বশেষ প্রযুক্তি নির্ভর একটি সামরিক অস্ত্র পরিচালনা করা হলে রাশিয়ানদের হাতে অনেক গোপন তথ্য চলে যেতে পারে।
যদিও তুরস্ক ইতোমধ্যে প্রথম চালান হিসেবে চারটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মালিকানা বুঝে পেয়েছে। আরও ২৬টি ২০২০ সালের মধ্যে পাওয়ার কথা রয়েছে চুক্তি অনুযায়ী। তবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এগুলো ডেলিভারি দেয়া হবে না এবং পাইলটদের জন্য নির্ধারিত প্রশিক্ষণ স্থগিত করা হয়েছে।
এরপরে তুরস্ক আরো ১১৬টি যুদ্ধবিমান কেনার চিন্তা করলেও মার্কিনীরা তাতে রাজি নয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে তুরস্ককে এই প্রকল্প থেকে পুরোপুরি বাদ দেয়া হবে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলের একটি টিভি চ্যানেল জানালো, আঙ্করাকে এই সমরাস্ত্রটি সরবরাহে ওয়াশিংটনের গড়িমসির পেছনে তেলআবিবের হাত ছিলো। নেতানিয়াহু প্রশাসন মার্কিনীদের কাছে লবিং চালিয়েছিল যাতে এরদোগান সরকারের হাতে এই শক্তিশালী প্রযুক্তিটি না পোঁছায়।
ইসরায়েলি চ্যানেল টুয়েলভ জানিয়েছে, ইসরায়েলের কর্মকর্তা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, তুরস্কের হাতে এই প্রযুক্তি গেলে ইসরায়েলের আশপাশের দেশগুলোর কাছে তা ফাঁস হয়ে যেতে পারে! ইসরায়েল ৫০টি এফ-৩৫ বিমান কেনার চুক্তি করেছে। ইতোমধ্যে ১৬টি হাতে পেয়েছে। বাকিগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে পাবে।
Leave a reply