নাটোরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সোমা। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবিটি) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
ঈদের পরে তার বিয়ে। সহপাঠীরা তার বাড়িতে যেতে পারবে না। তাই ক্যাম্পাসেই আয়োজন করা হলো ‘গায়ে হলুদ’অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন শিক্ষক, সহপাঠী ও সিনিয়র-জুনিয়ররাও।
শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজন করা হয় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রীর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান নিয়ে চলে নানা আলোচনা।
সোমার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিইবিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক শাহেদুর রহমানসহ বিভাগের সহপাঠীরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা তার সহপাঠীর বিয়েতে যেতে পারবে না। তাই ক্যাম্পাসেই তারা গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানে শিক্ষকদেরও দাওয়াত করা হয়েছিল। আমি নিজেও গিয়েছি। যবিপ্রবিতে এবারই প্রথম এ ধরনের আয়োজন করা হলো।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনুষ্ঠান হয়। শিক্ষার্থীদের উদ্যোগকে পজেটিভলি দেখছি। কারণ পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা, সামাজিক কাজ করে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধন আরও অটুট করার জন্য এ ধরনের অনুষ্ঠান ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
সোমার বন্ধুরা বলেন, ভার্সিটি লাইফ আমাদের একটি পরিবারের মতো। যেখানে একেকজন বন্ধু-সহপাঠী বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছি। ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও দূরত্বের কারণে সোমার বিয়েতে তার বাড়িতে যেতে পারবো না। তাই সহপাঠীর বিয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করেছি আমরা।
কনে সুমাইয়া আক্তার সোমা বলেন, বন্ধুদের এমন আয়োজনে আমি খুবই অভিভূত। এত কম সময়ে বন্ধু-বান্ধব সবার কাছ থেকে এত বড় সারপ্রাইজ পাবো এটা সত্যি অনেক আনন্দদায়ক। সিনিয়র-জুনিয়র ও স্যারদের আন্তরিকতায়ও আমি মুগ্ধ। এটা সত্যিই আমার ক্যাম্পাস লাইফের অনেক বড় একটা পাওয়া ছিল। সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সবার দোয়াই একান্ত কাম্য আমার।
Leave a reply