শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরে এ পর্যন্ত ৫৯জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ১৭জন রোগী ভর্তি আছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতালেও রোগী ভর্তি রয়েছে। ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
ডেঙ্গুজ্বর সনাক্তের এনএসওয়ান পরীক্ষা কিটের সংকট রয়েছে। আর আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষার কিট নেই জেলার সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে।
এদিকে এনএস ওয়ান কিট সংকট নিরসনে ২শ কিট দিয়েছেন শরীয়তপুর-২ সংসদ সদস্য এনামুল হক শামীম। তিনি তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত “আশ্রাফুননেছা ফাউন্ডেশন” থেকে কিটগুলো প্রদান করেন।
একজন টেকনিশিয়ান আর একজন এমএলএসএস দিয়ে চলছে ল্যাবের কার্যক্রম। রক্ত পরীক্ষা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। সেবা না পেয়ে ডেঙ্গুরোগীরা ভীর জমাচ্ছেন বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য হাসপাতালগুলোতে পৃথক কর্নার রয়েছে।
সদর উপজেলার আমীন বাজার এলাকা থেকে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, দুই দিন ধরে জ্বরে ভুগছি। চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ডাক্তার দেখাই। চিকিৎসক রক্তের কতগুলো পরীক্ষা দিয়ে প্যাথলজি রুমে পাঠান কিন্তু পরীক্ষা না করে ল্যাব থেকে আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষাগুলো বাহিরের একটি ডায়াগনস্টিক থেকে ১হাজর ৫শ টাকা খরচে করিয়েছি।
শরীয়তপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ যাবত জেলায় ৫৯ জন ডেঙ্গুরোগী সনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গুরোগী সনাক্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ১শ২০ টি এনএস ওয়ান
পাওয়া গেছে। যা সদর ও উপজেলা হাসপাতালে ভাগ করে দেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে সদর হাসপাতালের কিট শেষ হয়ে গেছে। কিটের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গুজ্বর জটিল পর্যায়ে গেলে তা পরীক্ষা করার জন্য আইজিজি ও আইজিএম কিট নেই শরীয়তপুরে।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ আবদুল্লাহ বলেন, জনবল সংকট রয়েছে। তার মধ্যেও যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। ঈদে গ্রামে ফেরা মানুষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। তখন অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে। স্বল্প জনবল আর সম্পদ নিয়ে হিমশিম খেতে হবে।
শরীয়তপুরের সিভিল সর্জন মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, বর্তমানে যে রোগীগুলো আসছেন তাদের অনেকেই শরীয়তপুর থেকেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা উদ্বেগের বিষয়। কিট সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী মহোদয় ২শ এনএস ওয়ান কিট দিয়েছেন। এতে সংকট অনেকটাই কেটেছে। ডেঙ্গু নিয়ে আতংকিত না হয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য সিভিল সার্জন অনুরোধ করেছেন।
Leave a reply