ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে আমরা খুবই আতঙ্কিত হই। তবে ভয় না পেয়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে ডেঙ্গু ভালো হয়। তাই ভয়ের কিছু নেই। আর ডেঙ্গু হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এমন নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে বিশ্রাম নিলেও আপনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
এডিস নামের মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। এ মশা ভাইরাসবাহী কাউকে কামড়ানোর পর অন্য আরেকজনকে কামড়ালে সেই মানুষটি আক্রান্ত হয়। এডিস মশা স্থির পানিতে, যেমন- পরিত্যক্ত টায়ার, পানির বোতল, কনটেইনার, ফুলের টব, এয়ারকুলারের পানি ইত্যাদির মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে।
কখন হাসপাতালে যাবেন?
ডেঙ্গুর চিকিৎসা বাড়িতেও সম্ভব, তবে রোগী বেশি দুর্বল ও পানিশূন্য হয়ে পড়লে বা শরীরের কোথাও রক্তবিন্দুর মতো দাগ, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, নাক বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো যে কোনো লক্ষণে দেরি না করে হাসপাতালে নিতে হবে।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের কারও পেটব্যথা বা ডায়রিয়া হলে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত। ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে দ্বিতীয়বার আক্রান্তরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। তাই সঙ্গে সঙ্গেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া উচিত।
ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ভাগ রয়েছে। এ ভাগগুলো হচ্ছে – ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’।
১. প্রথম ক্যাটাগরির রোগীরা নরমাল থাকে। তাদের শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ‘এ’ ক্যাটাগরির।তাদের হাসপাতালে ভর্তি হবার কোন প্রয়োজন নেই।
২. ‘বি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীর শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন তার পেটে ব্যথা, বমি ও কিছুই খেতে পারছে না।
অনেক সময় দেখা যায়, দুইদিন জ্বরের পরে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হাসপাতাল ভর্তি হওয়াই ভালো।
৩. ‘সি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ’র প্রয়োজন হতে পারে।
ডা.এ বি এম আবদুল্লাহ
সাবেক ডিন, মেডিসিন অনুষদ; সাবেক চেয়ারম্যান, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
Leave a reply