‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়ক নোবেলকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। কলকাতার গণমাধ্যমের খবর, প্রতিযোগিতা চলার সময় নাকি অন্য প্রতিযোগীদের পাত্তা দিতেন না নোবেল। এমনকি বিচারক মোনালি ঠাকুরকেও নাকি অপমান করেছিলেন তিনি। আর এ কারণে মোনালি প্রতিযোগিতার মঞ্চ ছেড়ে চলে যান।
নোবেলকেও নাকি শাস্তিস্বরূপ ‘সাসপেন্ড’ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কলকাতার গণমাধ্যমের তথ্যগুলো মিলিয়ে নিলে গল্পটা এরকম, মোনালি ঠাকুরের সঙ্গে নোবেলের ঝামেলার সূত্রপাত ঘটে একটি গানের নম্বর দেয়া নিয়ে। নোবেল নাকি তাহসানের জনপ্রিয় গান ‘প্রেমাতাল’ গাইলে অন্য দুইজন বিচারক তাকে ৯ করে নম্বর দেন। আর মোনালি দেন ১০ এর মধ্যে মাত্র ৪। এতে হতবাক হয়ে যান নোবেল। মোনালি কারণ হিসেবে জানান, গানেটির কথাই বোঝা যায়নি। জবাবে, নোবেল মোনালিকে বলেন, গানটি আসলে এমনই, আপনি শুনে দেখুন। আর এতেই নাকি অপমানিত বোধ করেন মোনালি। এক পর্যায়ে বিচারকের আসন ছেড়ে চলে যান তিনি।
তাহসানের প্রেমাতাল গানের লাইনগুলো এমন- এ যেন সহজ স্বীকারোক্তি আমি যুগান্তরী নই/এ যেন ভীষণ আক্ষেপ আমার আমি দিগ্বিজয়ী নই/শুধু একটাই আশা আমি বুকে জড়িয়ে রব সারাটি জীবন তোমায় নিয়ে/ কিছু অর্থহীন শব্দ গুনে ডেকেছি তোমায়/ প্রেম তুমি কোথায়/বিন্দু আমি তুমি আমায় ঘিরে/বৃত্তের ভেতর শুধু তুমি আছো/মাতাল আমি তোমার প্রেমে/ তাই অর্থহীন সবই যে প্রেম লাগে…
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নাকি আয়োজক কর্তৃপক্ষে নোবেলকে মোনালি ঠাকুরের কাছে ক্ষমা চাইত বলে। কিন্তু নোবেল নাকি ক্ষমা চাওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাননি। অনেকের ভাষ্য, ‘সারেগামাপা’র শুরু থেকেই বাংলাদেশি গায়ক নোবেল তুমুল জনপ্রিয়তা পান। দ্রুত বাড়তে থাকে তার ভক্তের সংখ্যা। বিচারকরাও প্রশংসায় ভাসাতে থাকেন তাকে। তার ওপর, পরিচালক সৃজিত মুখার্জীর ‘ভিঞ্চিদা’ ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ পান নোবেল। সব মিলিয়ে তার মধ্যে নাকি দাম্ভিকতা ভর করে। ফলে বিচারকদের কাউকে কাউকে নাকি তার গানের বিচার করার যোগ্য মনে করতেন না নোবেল!
দিন শেষে এসবই গুঞ্জন। কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ কেউ তুলে ধরেনি। হয়তো এক সময় জানা যেতে পারে ‘সারেগামাপা’তে কী হয়েছিল? তবে নোবেল যে এ প্রতিযোগিতার ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট নন সেটি গণমাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন এভাবে, ‘ভ্ক্তরা আমার তৃতীয় হওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না। এর বেশি কিছু এখন বলবো না।’ আর মোনালি ঠাকুরের সাথে কখনও ডুয়েট গাইবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব এক শব্দেই সারেন তিনি- ‘না’।
Leave a reply