জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে আজই স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে টেলিফোনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে মারাত্মক বির্পযয়ের আশঙ্কা করছেন আরব নেতারা।
পবিত্র ভূমি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বদ্ধপরিকর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার আসতে পারে চূড়ান্ত ঘোষণা। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে মুসলিম সম্প্রদায়।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ এ শহর। সেই বাস্তবতা উপেক্ষা করে শহরটিকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত মঙ্গলবারই ফোনালাপে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, স্থিতিশীলতাকে হুমকির মধ্যে ফেলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবি আবু দেনেহ জানান, ‘জেরুজালেম ইস্যুতে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনবিরুদ্ধ। এর ফলে ফিলিস্তিনি-ইসরায়ের শান্তি আলোচনার কোন মূল্যই থাকবে না।’
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন আরব নেতারা। ট্রাম্প পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কে উস্কানি দিচ্ছেন বলে হুঁশিয়ার করেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানও ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছে জেরুজালেম ইস্যুতে সীমা লঙ্ঘন না করতে।
এরদোগান বলেন, ‘জেরুজালেম মুসলিমদের জন্য স্পর্শকাতর ইস্যু। একে ঘিরে নিজেদর অধিকার আদায়ে প্রতিনিয়তই রক্ত দিচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। প্রয়োজনে ইসরায়েলের সাথে সব ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।’
১৯৬৭ সালে আরব ইসরায়েল যুদ্ধে, জেরুজালেমের একাংশ দখল করে নেয় ইসরায়েল। ১৯৮০ সালে আরো কিছু এলাকা দখলের পর শহরটিকে রাজধানী ঘোষণা করলেও মেলেনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ফিলিস্তিনিরাও তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে মানে জেরুজালেমকে।
Leave a reply