পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
এবার পটুয়াখালীর বাউফলে কলাগাছ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তার গাইড ওয়াল। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা থেকে কচুয়া সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তাটি নির্মাণের। অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাফাই গাইলেন উপজেলা প্রকৌশলী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১০ফুট প্রস্থের ৭হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের সড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১কোটি ৩০লাখ টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এন.এস পল্লী স্টোর সড়ক নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইটের খোয়া। সড়কের প্রস্থ ১০ফুট হলেও কোথাও কোথাও তা ৯ফুট, সাড়ে ৮ফুট। সড়কটির হাওলাদার বাড়ির সামনে নির্মিত গাইড ওয়াল নির্মাণের কয়েক দিনের মধ্যেই তা ধ্বসে পড়েছে। ব্রিজের এপ্রোচের পাশে পাকা গাইডওয়ালের পরিবর্তে কলা গাছ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গাইড ওয়াল।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রুবেল নামে এক ব্যক্তি জানান, চুলার মাটি থেকেও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে সড়ক নির্মাণে। স্থানীয়রা এই অনিয়মের প্রতিবাদ করলেও তাতে কোনও কর্ণপাত করেননি সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ঠিকাদারের পক্ষে নির্মাণ কাজ তদারককারী মো. আজিজ মোল্লা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাস্তায় যতটুকু পাকা পাইলিং ধরা ছিলো তা করা হয়েছে। আর যেখানে পাইলিং ধ্বসে পড়ছে তা পুনরায় নির্মাণ করা হবে।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের ইটের ব্যবহার কথাটি সত্য নয়। আর ডিজাইনে যেখানে যেখানে গাইড ওয়াল ধরা হয়েছে সেভাবেই করা হবে। কলাগাছ দিয়ে গাইড ওয়ালের বিষয়ে বলেন মাটি না পাওয়ার কারণে আপাতত শেল্টার দেয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে শত্রুতার কারণে এ ধরনের অভিযোগ করা হতে পারে।
Leave a reply