কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের বৈঠক থেকে বেরিয়ে এলেন সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি ও তার পুত্র সদ্য পদত্যাগ করা সভাপতি রাহুল গান্ধি। গত নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির বিজেপির কাছে বড় পরাজয়ের পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন রাহুল। এতে, সাময়িক সঙ্কট তৈরি হয় কংগ্রেস দলে।
শনিবারের অভ্যন্তরীণ বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে রাহুল গান্ধি জানান, উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য দলকে একটি মুক্ত পরিবেশ দিতে চান তিনি, তাই বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত।
রাহুল গান্ধির সঙ্গেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন সোনিয়া গান্ধিও। জানান, ‘ভুল করেই সভাপতি নির্বাচনের তালিকায় আমাদের নাম রাখা হয়েছিল। আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলিই নির্বাচন প্রক্রিয়াতে মূল ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
উভয় নেতাকেই আঞ্চলিক গোষ্ঠীর অংশ করা হয়েছিল। ওই আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলি রাহুল গান্ধির পরামর্শেই গঠিত হয়েছিল যেন নতুন নেতা নির্বাচনের আগে বিস্তারিত আলোচনা করা যায়। সোনিয়া-রাহুল না থাকলেও কংগ্রেসের এই অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। বিগত নির্বাচনের আগেই কংগ্রেসের উত্তরাঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল ৪৬ বছরের প্রিয়াঙ্কাকে। এই বৈঠকে উত্তর-অঞ্চলের কমিটির সদস্য হিসাবে অংশ নিচ্ছেন তিনি।
কংগ্রেসের অনেক নেতার দাবি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি দলের দায়িত্ব নিক। তাদের মধ্যে আছেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-ও। তবে, রাহুল গান্ধি এই প্রস্তাব উড়িয়ে সাফ জানিয়েছেন তার মা বা বোনকে শীর্ষ পদে নেয়া চলবে না। শনিবার কংগ্রেসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা হতে পারে, দৌড়ে এগিয়ে মুকুল ওয়াসনিক
গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কেবল ৫২টি আসনে জিততে সক্ষম হয়েছিল। স্বয়ং রাহুল গান্ধি তার পারিবারিক ঘাঁটি বলে পরিচিত আমেথিতে বিজেপির স্মৃতি ইরানীর কাছে হেরে যান। এর আগে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা জিতেছিল ৪৪টি আসন।
Leave a reply