গতকাল রবিবার ফের কারফিউ জারি হওয়ায় আজ সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের পথঘাট থমথমে ও নির্জন। বিশেষত কাশ্মীরের শ্রীনগরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই চলছে ঈদ উদযাপন। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় শ্রীনগরের বেশিরভাগ মসজিদে ঈদের নমাজ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
রবিবার শ্রীনগরে আবার কারফিউ জারি হয়। গত শনিবারই ভারত সরকার এবং রাজ্য পুলিশ জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। জম্মু ও কাশ্মীরে আশেপাশের ছোট ছোট মসজিদে ঈদের নমাজ অনুষ্ঠিত হয়, সরকারের তরফ থেকে সংবাদমাধ্যমে ঈদের নমাজের ছবি পাঠানো হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি সহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ, যারা গত সপ্তাহ থেকে নজরবন্দি রয়েছেন, তাদের স্থানীয় মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।
সরকার জানিয়েছে, শনিবার নিরাপত্তা শিথিল করার পরে শ্রীনগরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তার জেরেই রবিবার থেকে ফের সেখানে কারফিউ জারি করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত সপ্তাহ থেকেই ওই রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে কারফিউ জারি করা হয়। শনিবার কারফিউ শিথীল করার পর বহু মানুষ রবিবার শ্রীনগরে ঈদের কেনাকাটায় যোগ দেন।
“বহু মানুষ ঈদের জন্যে রাজ্যের বাইরে থেকে আসছেন এবং কেনাকাটা করছেন। আজও (সোমবার) প্রচুর সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছেন। যেখানেই বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানেই তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন। নিজেদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে শ্রীনগরে আসতে ইচ্ছুক এমন মানুষদের সুবিধার্থে আমরা সবরকম সাহায্য করার চেষ্টা করছি”, দাবি করেন পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান সচিব রোহিত কনসাল।
Leave a reply