মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় একটি গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধস ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫১ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যমটি। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় মোন প্রদেশের একটি পর্বতের সমতলে অবস্থিত থায়িপু কোনি নামক গ্রাম ওই ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে।
দেশটিতে চলমান টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসে পড়ে বলে জানায় মোন প্রদেশ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইউ জো জো হোতো।
তিনি বলেন, আমার জীবদ্দশায় এই প্রথম সবচেয়া ভয়ংকর বন্যা ও অতিবৃষ্টি দেখলাম।
শুক্রবারের ওই ভূমিধসের পর নিহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে জানিয়ে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৫১ জন নিহত হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি।
এএফপির প্রতিবেদনে প্রকাশ, ভূমিধসে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত গ্রামটির ১৬টি বাড়ি এবং বৌদ্ধ ধর্মবালম্বীরদের একটি মঠ মাটিতে চাপা পড়েছে। দেশটির উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা কাদার ভেতর থেকে একের পর এক মরদেহ উদ্ধার করেই যাচ্ছে।
উদ্ধারকারী দলের তৎপরতায় মাটির নিচে চাপা পড়া অনেক জীবিত মানুষকেও উদ্ধার করা গেছে। তবে তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন রয়েছে। এ সংখায় ৪৭ জন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসক মিয়ো মিন তুন।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, পাহাড় ধসের পরপরই উদ্ধারাভিযানে নামে দমকল বাহিনীর কর্মীরা। রাতভর উদ্ধার কার্যক্রম চালায় তারা। এ পর্যন্ত আমরা ৫১ জনের মরদেহ পেয়েছি।
তবে আরও ১২-১৩ জনের খোঁজ পাচ্ছেন না দুর্ঘটনা কবলিত পরিবারগুলো।
মা তাই তাই নামের এক গ্রামবাসী জানান, শুক্রবার আমি কাজের জন্য শহরে ছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি আমার ঘড় কাদায় ডুবে রয়েছে। আর আমার পরিবারের ৮ জন নিহত ও আহতদের মধ্যে নেই।
Leave a reply