উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় বুলডোজার দিয়ে আবর্জনার ভাগাড়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। আবার কেউ কেউ চামড়া গর্ত করে পুঁতে ফেলছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানেই এভাবেই চামড়া নষ্ট করছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, সৈয়দপুর ও দিনাজপুরে দাম না পেয়ে হাজারো চামড়া নষ্ট হওয়ায় সেগুলো সড়কের পাশে ফেলে দিতে বাধ্য হন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
সৈয়দপুর ও দিনাজপুরে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ চামড়া সংগ্রহ করে তার উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় তা গর্ত করে মাটিতে পুঁতে ফেলেন।
সিলেটের মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, বিক্রি তো দূরের কথা বিনামূল্যেও নেয়ার কেউ নেই। তাই সিলেটের আম্বরখানা এলাকায় রাস্তার ধারে চামড়ার স্তুপ করে রেখেছেন তারা।
সিলেটে ঈদের দিন চামড়াগুলো সংগ্রহ করেছিল সিলেট দারুস সালাম মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দাম না পেয়ে রাতেই ফেলে দিতে বাধ্য হয় তারা।
চামড়ার এমন দামের কথা জেনে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও দাবি করলেন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি চামড়া বাজার।
চামড়ার মূল্যের একই পরিস্থিতি চট্টগ্রামেও। বুলডোজার দিয়ে শত শত চামড়া অপসারণ করা হয় সড়কের পাশ থেকে।
অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী দাম না পেয়ে রাগে-ক্ষোভে এসব চামড়া নষ্ট করে ফেলে যায় রাস্তার ওপর।
অনেকে বলছেন, দাম না পেয়ে চামড়া নষ্ট হওয়া এবং ফেলে দেয়ার ঘটনা এর আগে কখনো দেখেননি তারা।
Leave a reply