৪৪ বছরেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতের বর্বর হত্যাযজ্ঞের রাজনৈতিক কুশীলবদের চিহ্নিত করা যায়নি। ঐ ঘটনায় যে ১২ জনের দণ্ড হয়েছে তারা সবাই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া সেনা কর্মকর্তা। যদিও শুরু থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডকে বিবেচনা করা হয়েছে রাজনৈতিক হত্যা হিসেবে।
আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ডের রাজনৈতিক কুশীলবদের খুঁজে বের করতে দ্রুতই কমিশন গঠন করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড স্বাধীনতার অর্জনকে পিছিয়ে দেয় এটা ইতিহাসস্বীকৃত। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে পিতার হত্যাকারী সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের পথ সুগম করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নির্মূল করার প্রক্রিয়াটিতে রাজনৈতিক চক্রও জড়িত ছিল। কিন্তু তাদের বিচার হয়নি। দন্ডিত হয়েছেন কেবল সামরিক হত্যাকারীরা।
২০১০ সালের ২৮ শে জানুয়ারি ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬ জন এখনো বিভিন্ন দেশে পলাতক অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী হক বলেন,বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড পরিচালনায় অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে সরকারকে। তবে বাধা স্বত্বেও কমিশন গঠন করে কুশীলবদের নাম প্রকাশ করতে সরকারের সদ্বিচ্ছার কোন অভাব নেই।
এমন ঘটনার কুশীলবদের বের করে জাতির সামনে তুলে ধরতে না পারলে তরূণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হতে বলে মনে করেন হত্যাকান্ডে প্রয়াতদের স্বজনরা।
তবে এমন ঘটনায় চার মেয়াদে ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগ কেনো ১৫ আগষ্টের রাজতৈনিক কুশীলবদের বিচারের মুখোমুখী করা হল না। সে প্রশ্ন ইতিহাসবিদদেরও ভাবায়।
১৫ আগষ্টের নৃশংস হত্যাকান্ডের কুশীলবদের নাম প্রকাশ না হলে জাতি পুরোপুরি দায়মুক্ত হতে পারবে না বলে মত ইতিহাসবিদদের।
Leave a reply