সকল ব্যস্ততা পাশে সরিয়ে মার্ক জুকারবার্গের পূর্ণ মনোযোগ এখন পরিবারের প্রতি। ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুকারবার্গ ডিসেম্বর মাসে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকছেন। তার দ্বিতীয় কন্যা অগাস্টের জন্মের পর দ্বিতীয়বারের মতো তিনি ছুটিতে যাচ্ছেন। এর আগে অগাস্টের জন্ম উপলক্ষে এক মাসের ছুটিতে ছিলেন তিনি।
জুকারবার্গ জানান, ফেসবুকে থেকে প্রাপ্য সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমি আমার কন্যা অগাস্টকে সময় দিতে চাই। তিনি বলেন, ফেইসবুকে আমরা চার মাসের মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন ছুটি দিয়ে থাকি। গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মজীবী বাবা-মা যখন তাদের নবজাতকের সাথে সময় কাটায় তখন তা গোটা পরিবারের জন্যই ভালো ফল বয়ে আনে।
উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সদ্য বাবা-মা হওয়া কর্মজীবীদের পর্যাপ্ত ছুটি দিতে ব্যর্থ হওয়ার তালিকায় প্রথমদিকে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ফেসবুক, গুগল এবং অ্যাপলের মতো সংস্থাগুলোতে কর্মজীবী পিতামাতা বান্ধব নীতিমালা রয়েছে। পর্যাপ্ত ছুটির পাশাপাশি নবজাতকের চিকিৎসা, বিশেষ বোনাস ও মাতৃদুগ্ধ পানের পৃথক জায়গার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আয়ের মানুষরা সন্তান জন্ম দেয়ার পর পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটির এক-চতুর্থাংশ কর্মজীবী মা সন্তান জন্ম দেয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে কাজে যোগদান করতে বাধ্য হয়।
অবশ্য ছুটিতে থাকার সময় মার্ক জুকারবার্গ পুরোপুরি ফেসবুক থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন না। তিনি জানান, আমি কেবল বাচ্চার ডায়াপার, দুধের বোতলের মতো বিষয় নিয়েই পড়ে ছিলাম না। মাঝেই মাঝেই আমাকে ফেসবুকের সহকর্মীদের সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলতে হয়েছে। বিশেষ করে, মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে সহকর্মীদের দীর্ঘ আলাপচারিতা করতে হয়েছিল বলে জানান তিনি।
এর আগে, ২০১৫ সালে প্রথম কন্যা ম্যাক্সের জন্মের পর দুই মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন জুকারবার্গ। সেসময় বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছিল।
যমুনা অনলাইন: আরএস/টিএফ
Leave a reply