সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতের কোচ হিসেবে বহাল রইলেন রবি শাস্ত্রী। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রধান কোচ পদে তাকে পুনর্বহাল করেছে দেশটির ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি (সিএসি)। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরও সিএসির এমন সিদ্ধান্তে মর্মাহত ভারতের অগনিত ক্রিকেট ফ্যান। তাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
শাস্ত্রীর কোচিংয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ২০১৯ আসরেও সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ভারত। কোহলিদের কোচ হিসেবে এবার তাই দেশের অনুরাগীরা দেখতে চাচ্ছিলেন নতুন মুখ। মাইক হেসন,টম মুডি,ফিল সিমন্স,রবিন সিং ও লালচাঁদ রাজপুতদের মধ্য থেকে কাউকে চাচ্ছিলেন তারা।তবে শাস্ত্রীর সঙ্গে কোট হওয়ার দৌঁড়ে টেকেননি কেউ-ই।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পরই কোচ হিসেবে রবির মেয়াদ শেষ হয়। তবে ৪৫ দিন বাড়িয়ে তাকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সঙ্গে পাঠানো হয়।একইসঙ্গে বিরাটদের নতুন কোচ বাছতে তৎপর হয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। শেষ পর্যন্ত শাস্ত্রীকেই রেখে দেয় তারা।তার মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা আসার পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দেখান ক্রিকেট অনুরাগীরা।
শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে রেখে দিয়েছে কপিল দেব,শান্তা রঙ্গস্বামী ও অংশুমান গায়কোয়াডের কমিটি।শুক্রবার কোচ নির্বাচনের পর তার স্বপক্ষে তারা যুক্তি দেখান,কোচ হিসেবে দর্শন, অভিজ্ঞতা, অর্জন, আধুনিক কোচিংয়ের বিভিন্ন টুল সম্বন্ধে ধারণা- সব বিষয়েই বাকিদের পেছনে ফেলেছেন শাস্ত্রী। তবে নেটিজেনরা এসব যুক্তি মানতে নারাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের রাগ-ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা।
সন্দ্বীপ ছামোলি নামের একজন লিখেছেন, ‘ভারতের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী তিন-চার বছর কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারবে না তারা।’ কেউ কেউ লিখেছেন,‘বাকি দলগুলোর সামনে দারুণ সুযোগ। মেগা ইভেন্টে ভারতীয় দলের দৌঁড় ফের সেমিতেই গিয়েই থামবে।’ মজার ছলে আবার কেউ কেউ বলছেন, শাস্ত্রীর উপর ‘বিরাট’ কৃপা বজায় রইল।
এর আগে ২০০৭ বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার,২০১৪-১৬ টিম ডিরেক্টর,২০১৭-১৯ প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাস্ত্রী।
Leave a reply