জমির দখল নিশ্চিত করতে নিজ পরিবারের কন্যা শিশুকে হত্যা করে সেই খুনের মামলায় প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারে। ২০১২ সালের সেই হত্যাকাণ্ডের কয়েক দফা তদন্ত শেষে সত্য উদঘাটনের দাবি করেছে পিবিআই। তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, মেয়ে না হয়ে ছেলে হলে পারিবারিক বিরোধে শিশু ইভাকে হয়তো এই করুণ পরিণতি বরণ করতে হতো না।
জমি নিয়ে নিজাম মিয়ার সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ প্রতিবেশী মধু মিয়ার। একদিন মধু দলবল নিয়ে জমি দখল করতে আসে। দু’পক্ষের লড়ায়ের মাঝে হঠাৎ সেখানে দেখা যায় নিজামের পাঁচ মাস বয়সী মেয়ে ইভার রক্তাক্ত নিথর দেহ। পরিবারের সদস্যরা সেই লাশ সামনে নিয়ে আহাজারি করছে। এ ঘটনায় মধু মিয়া ও তার ভাইকে আসমি করে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা করেন নিজাম।
পাঁচ বছর আগের আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই। জমি দখলে নিতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু ইভাকে তার পরিবারই হত্যা করেছিল বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। দাদি বীরু বেগমের নির্দেশে দুই চাচা আবুল মিয়া ও রাশিদ আলী ইভাকে জবাই করেন। তারপর সেই রক্তাক্ত দেহ নিয়ে ইভার মা রুবিনা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহাজারি করেন। দখলদাররাও শিশুর মৃতদেহ দেখে পালিয়ে যায়। তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে পুরো ঘটনা স্বীকার করেছে আবুল ও রশিদ। জানিয়েছে, মেয়ে না হয়ে ছেলে হলে ইভাকে এই পরিণতি বরণ করতে হতো না।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পারিবারিক বিরোধে এমন হত্যাকাণ্ডের খবরে হতবাক সবাই। আবুল মিয়া ও রাশিদ আলীকে গ্রেফতারের পরই নিজাম ও তার স্ত্রী রুবিনা গা ঢাকা দিয়েছেন। নিজামের মা বীরু বেগম সম্প্রতি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পিবিআই।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply