মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়া ভারতীয় বক্তা জাকির নায়েককে দেশটির পুলিশ আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
জাকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মালয়েশিয়ায় বসবাস করা ভারতীয় ও চীনা বংশোদ্ভুতদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। যদিও তিনি দাবি করেছেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মালয়েশিয়ার রাজনীতি জাকির নায়েক বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন। তার পক্ষে বিপক্ষে গ্রুপ তৈরি হয়েছে। সরকারের একাধিক মন্ত্রী তার স্থায়ী বসবাসের অনুমতি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদ বলেছেন, জাতিগত বিষয় নিয়ে কথা বলে জাকির সীমা অতিক্রম করেছেন।
এদিকে আজ সোমবার সেদেশের মন্ত্রী-এমপি সহ চার ব্যক্তিকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই ব্যক্তিরা ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
মালয় মেইল জানিয়েছে, ক্ষমা চাওয়ার জন্য যাদেরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন, পেনাংয় প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পি. রামাসামি, বাগান ডালামের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সাতিস মুনিয়ানদি, সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেনিস ইগনাটিয়াস ও ক্লাংয়ের এমপি চার্লস সান্তিয়াগো।
আজ সোমবার একটি আইন বিষয়ক ফার্মের মাধ্যমে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৮ আগস্ট দেয়া তার ভাষণ ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন পাঁচ ব্যক্তি। উপরিউক্ত চারজনের বাইরে আরেকজন হলেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী কুলাসেগারান। তার বিরুদ্ধে আগেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন জাকির।
সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ৮ আগস্টের এক অনুষ্ঠানে জাকির নায়েক বলেছেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের চেয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুরা শতগুণ বেশি অধিকার ভোগ করছেন। মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী হিন্দুরা দেশটির চেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করেন বেশি।
তবে জাকিরের দাবি, তার বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
Leave a reply