পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনায় ২২ দিন বয়সী এক নবজাতক কন্যা শিশুকে বিক্রির চেষ্টাকালে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় নবজাতক শিশুটিকেও উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, হেলাল উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী রুবি খাতুন, শ্বশুর মো: আব্দুল্লাহ ও শাশুড়ি মুন্নী খাতুন। এদের সবার বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরের কাজিপাড়া গ্রামে। হেলাল উদ্দিন ঢাকায় কাঠ মিস্ত্রির কাজ করেন।
আটককৃতদের বরাত দিয়ে হিমাইতপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, শিশুটি ঢাকার উত্তরা এলাকার শাফিকুল ইসলাম ও শাহিদা বেগম দম্পতির। তারা স্ব-ইচ্ছায় শিশুটিকে লালন পালনের জন্য হেলাল উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রীকে দিয়েছিলেন। পরে তাঁরা শিশুটি প্রতিবেশী এক নি:সন্তান দম্পতির কাছে বিক্রির জন্য পাবনায় নিয়ে আসেন।
বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার হেমায়েতপুরের কাজিপাড়া গ্রামে এক দম্পতির সঙ্গে ২০ হাজার টাকা দামে শিশুটিকে বিক্রির বিষয়ে তাঁদের কথা হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও চারজনকে আটক করে পুলিশ।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, আটক হেলাল উদ্দিনের দেয়া ঠিকানা ধরে শিশুটির পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। বিষয়টি উত্তরা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। প্রকৃত অভিভাবক খুঁজে পেলে শিশুটিকে তাঁদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
এদিকে শিশুটিকে উদ্ধারের খবরে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সহ বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। তাঁরা শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা পল্লব ইবনে শায়েখ বলেন, শিশুটি খুবই ছোট। সে নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। শিশুটিকে যত্নে রাখা প্রয়োজন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিভাবকের খোঁজ না পাওয়া গেলে শিশুটিকে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের রাজশাহী বেবী হোমে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a reply