জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদে যখন বিশ্বজুড়ে মুসলিম-অমুসলিমরা মিলে প্রতিবাদ করছেন, এমনকি ইহুদিরাও কণ্ঠ মেলাচ্ছেন এই প্রতিবাদে, তখন নীরব সৌদি আরবের দুই প্রধান মসজিদের ইমামরা। ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম স্থান মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ইমামরা গতকাল শুক্রবারের খুৎবায় জেরুজালেম ইস্যু নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, শুক্রবারের খুৎবায় মক্কার মসজিদের হারামের ইমাম এবং সৌদি আরবের সুপরিচিত আলেম শাইখ মাহের মু’কিলী তার খুৎবায় জেরুজালেম প্রসঙ্গের উল্লেখ না করে শুধু বলেন, ফিলিস্তিনিদের আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সৌদি আরব কাজ করছে। এছাড়া ইসলাম ও মুসলমিদের কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি বাদশাহ সালমান এবং অন্যান্য মুসলিম নেতাদের প্রশংসা করেন।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেম নিয়ে কী করেছে , এবং এর প্রতিক্রিয়ায় জেরুজালেমে বর্তমানে কী হচ্ছে এসব বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।
অন্যদিকে মদীনায় মসজিদে নববীর ইমাম জেরুজালেমের ঘটনাপ্রবাহ বা ফিলিস্তিন সংক্রান্ত একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। বরং তিনি ‘বছরের বিভিন্ন সময়ে মওসুম পরিবর্তনে আল্লাহর অলৌকিকতা’র ওপর বয়ান রেখেছেন।
এর আগে সৌদি রাজকীয় আদালত দেশটির গণমাধ্যমের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে, কেউ যেন জেরুজালেম বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের খবরকে বেশি গুরুত্ব না দেয়।
এছাড়া জর্দানের রাজধানী আম্মানে অবস্থিত সৌদি ও বাহরাইনের দূতাবাস থেকে দেশ দুটির নাগরিকদেরকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী কোনো বিক্ষোভে অংশ না নিতে বলা হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, তুরস্কসহ ইউরোপ আমেরিকা এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ মার্কিন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এমনকি নিউইয়র্কে গতকাল শুক্রবার ইহুদি ধর্মের বহু অনুসারী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। প্রসঙ্গত, মক্কা ও মদীনার পর মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান বায়দুল মুকাদ্দাস এই জেরুজালেমে অবস্থিত।
Leave a reply