রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে মিয়ানমার কথা রাখছে না। তাই আন্তর্জাতিক আদালতে দেশটির বিচার দাবি করেছেন ইসলামী সম্মেলন সংস্থা-ওআইসি। দ্রুততম সময়ে নাগরিকত্ব দিয়ে তাদের ফেরানোর তাগিদ দিয়েছেন মুসলিম বিশ্বের নেতারা। আর এটাকে দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট উল্লেখ করে মিয়ানমারকেই এর সমাধান করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের সাইড লাইনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ মিশন এবং ওআইসি। সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে তার দেয়া পাঁচ দফা বাস্তবায়নে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা চান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে মিয়ানমারকেই। রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পূর্ণভাবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের ফসল। তাই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান আসতে হবে মিয়ানমার থেকেই।”
এই আলোচনায় অংশ নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ সংকট নিরসনে মিয়ানমারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছার অভাব স্পষ্ট। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে এ দায় বর্তায় আমাদের, অর্থাৎ বিশ্ব সম্প্রদায়ের ওপরই। মানুষের দুর্ভোগ হ্রাসের যে লক্ষ্য নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল, রোহিঙ্গা ইস্যুতে নীরবতা সে লক্ষ্যের সাথে সাংঘর্ষিক।”
রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করে ওআইসি মহাসচিব দোষীদের বিচারের তাগিদ দেন।
ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গারা যে মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ অপরাধের সাথে জড়িতদের যেকোনো মূল্যে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে সৌদি আরব ও তুরস্কসহ মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের প্রতিনিধিরা সংকটের টেকসই সমাধানে মিয়ানমারকে তাগিদ দেন।
Leave a reply