বগুড়া ব্যুরো
বাংলাদেশ ব্যাংকের বাতিল নোট নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশনে না ফেলে বিলের পানিতে ফেলায় বগুড়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তিন কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন পৌরসভার মেয়র। বুধবার ওই তিন কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের ওই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খাউড়াজান বিলের পানিতে কয়েক বস্তা কুচি কুচি করে কাটা টাকা ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে জানা যায়, টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার বাতিল নোট। নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশনে ধ্বংসের জন্য কাটা নোটের বস্তাগুলো বগুড়া পৌরসভার বজ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে দিয়েছিলো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বগুড়া পৌরসভার সচিব রেজাউল করিম জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশনে ব্যাংকের বাতিল টাকার বস্তাগুলো না ফেলে সেগুলো বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে শাজাহানপুর উপজেলার চান্দাই গ্রামে রাস্তার পাশে বিলের পানিতে ফেলে দেয়। যে কারণে বগুড়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এবং পৌরসভার বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রাখিউল আবেদীনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই নোটিশের জবাবও দিতে বলা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, যে ট্রাকে ব্যাংকের ওই বাতিল নোটের বস্তাগুলো বহন করা হয়েছিল, তার মালিকের সাথে ট্রাক-ভাড়ার চুক্তিও বাতিল করা হয়েছে। ট্রাকটি ভাড়ায় নিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যবহার করতো বগুড়া পৌরসভা।
বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বাতিল নোট অপসারণের কাজটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ওই তিন কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশের যুক্তিসঙ্গত জবাব দিতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে বিধিমাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a reply