সাবেক এনএসআই প্রধান ওয়াহিদুলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু

|

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ওয়াহিদুলের বিচার শুরু হল।

বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, মোখলেসুর রহমান বাদল, রেজিয়া সুলতানা চমন ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। আর আসামি ওয়াহিদুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুর রহমান।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ওইদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২৫ এপ্রিল তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

ওয়াহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর তদন্ত সম্পন্ন করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। পরে তদন্তে তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ পাওয়া যায়।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ বিকাল অনুমান ৪টা ৩০ মিনিটে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৯ ক্যাভেলরি রেজিমেন্টের অ্যাডজ্যুটেন্টের দায়িত্বে থেকে চারটি সামরিক জিপে মেশিনগান লাগিয়ে গুলি বর্ষণ করেন। রংপুর সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকায় ৫০০ থেকে ৬০০ স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে হত্যা, গণহত্যা ও অসংখ্য মানুষকে গুরুতর আহত করার অভিযোগও রয়েছে ওয়াহিদুলের বিরুদ্ধে। গুলি বর্ষণ করে সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া হত্যা, গণহত্যার শিকার মানুষের লাশ পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে কয়েকটি গর্তে মাটি চাপা দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply