ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনে ব্রিটেনের রাজনীতি। সমাধান কী সহসায় হচ্ছে? ব্রিটেনের পার্লামেন্টে কি গৃহীত হবে নতুন ব্রেক্সিট চুক্তি? সেটি স্পষ্ট হতে পারে আজই। নতুন চুক্তির খসড়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হবে ‘হাউজ অব কমন্সে’। আজই হবে ভোটাভুটি। অবশ্য, বিতর্কের আগেই চুক্তি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বিরোধীরা আর সমর্থন আদায়ে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আগামী ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের দিনক্ষণ ঠিক করা। সেটি যতো এগিয়ে আসছে ততোই যেন বাড়ছে টানাপোড়েন। এ অবস্থায় আজ ‘হাউজ অব কমন্সে’ নতুন খসড়া চুক্তি তুলছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ৩৭ বছর পর, আবারও ছুটির দিনে বসছে পার্লামেন্ট অধিবেশন। যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন, ভোটাভুটি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে স্থানীয় সময় দুপুর গড়াবে।
গেল সপ্তাহেই নতুন চুক্তির ব্যাপারে ইইউ’র সবুজ সংকেত পান জনসন। এতে আইনপ্রণেতাদের সমর্থন আদায়ে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার আশা, বিরোধী দলের কিছু ভোট টেনে নেবেন চুক্তির পক্ষে। বলেছেন, ব্রেক্সিটের মাধ্যমে নিজস্ব স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে যুক্তরাজ্য। এর ফলে- আইরিশ সীমান্ত, অর্থ, বাণিজ্য নীতিমালা, মুক্ত বাজার অর্থনীতিসহ নিজেদের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তগুলো আমরাই নিবো। গ্রেট ব্রিটেনের ওপর ছড়ি ঘোরানোর কেউ থাকবে না। এমপিদের প্রতি অনুরোধ, ৩১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট কার্যকরে সমর্থন দিন। তাতেই সবারই মঙ্গল।
অবশ্য, চুক্তি রুখে দিতে বদ্ধপরিকর প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি, আইরিশ রাজনৈতিক দল-ডিইউপি, স্কটিশ দল-এসএনপি’সহ অন্যান্যরা। ডিইউপির মুখপাত্র স্যামি উইলসনের কথা, নর্দান আয়ারল্যান্ডের জন্য এই চুক্তি বিষাক্ত। প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতির কিছুই বাস্তবায়ন করছেন না। তার ওপর, বেলফেস্ট চুক্তি অনুযায়ী জোটের সাথে থাকার বা বের হওয়ার সুযোগও বন্ধ। তাহলে কেনো চুক্তির পক্ষে আমরা ভোট দিবো?
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন বলেন, এসএনপি’র এমপিরা চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিবেন। কারণ, এটা থেরেসা মে’র প্রস্তাবনার থেকেও বাজে। এর মাধ্যমে, স্কটিশদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার তোয়াক্কা না করেই ইইউ’র বাজার ব্যবস্থা থেকে আমাদের ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। ব্রেক্সিটের কোনো পরিবেশ নেই যুক্তরাজ্যে।
উল্লেখ্য, জুলাইতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর, দুই মাসেই ৭ বার পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয় বরিস জনসনের ব্রেক্সিট প্রস্তাব। নতুন অধিবেশন শুরুর পর, আজই প্রথম ভোটাভুটির মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
Leave a reply