ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ মানেই টান টান উত্তেজনা, রোমাঞ্চ, যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব আর বৈরিতা। মুখোমুখি লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না দুদলের খেলোয়াড়রা। মাঠের দ্বৈরথ দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরাও প্রতিপক্ষের সমর্থকদের দুয়োধ্বনি দেন। এমনকি টিভি সেটের সামনে বসা দুদলের বিশ্বের কোটি কোটি ফ্যানও তর্কবিতর্কে জড়ান।
আবার চলে এসেছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ফের যুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় সৌদি আরবের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে গড়াবে দুদলের মহারণ। স্বভাবতই স্নায়ুক্ষয়ী এক ম্যাচ উপভোগের অপেক্ষায় ফুটবল দুনিয়া।
ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিইআইএন স্পোর্টস, টিওয়াইসি স্পোর্টস, স্পোর টিভি এবং এফইউবিওটিভি। তবে বাংলাদেশ থেকে এগুলোতে প্রবেশাধিকার নেই বললেই চলে।
এদিন রাতে ফুটবলের অন্যতম দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নিজেদের মধ্যকার ১১২তম ম্যাচে মাঠে নামছে। এটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ হলেও ইতিমধ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। পুরো ফুটবলবিশ্ব আরও একটি সুপার ক্লাসিকোর সাক্ষী হতে অধীর আগ্রহে বসে আছে।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সবশেষ একে অপরের মোকাবেলা করে গেল জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে। সেই সাক্ষাতে আলবিসেলেস্তেদের ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন সেলেকাওরা। শেষ পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী শিরোপা ঘরে তোলেন তারা। তবে এর পর আর কোনো জয় পায়নি সাম্বার দল।
ওই ম্যাচ শেষেই লাতিন আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (কনমেবল) নিয়ে প্রশ্ন তুলেন লিওনেল মেসি। তিনি বলেন, ব্রাজিলকে শিরোপা জেতাতেই সব বন্দ্যোবস্ত করে রেখেছে কনমেবল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নিশ্চিত দুটি পেনাল্টি তাদের দেননি রেফারি। ফলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিন মাস নিষিদ্ধ হন ছোট ম্যাজিসিয়ান।
এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে খেলায় ফিরেছেন মেসি। সবকিছু ঠিক থাকলে এ ম্যাচে খেলবেন তিনি। ফলে প্রতিশোধ নেয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন হালের ফুটবল ক্রেজ। অধিকন্তু ইনজুরির কারণে ব্রাজিল দলে নেই প্রাণভোমরা নেইমার।
তবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের খাটো করে দেখার উপায় নেই। বরাবরই তারকা ফুটবলারের খনি দেশটি। তরুণদের নিয়ে গড়া দলটিও যেকোনো সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তাদের আশা জাগাচ্ছেন উদীয়মান, সম্ভাবনাময়ী ও প্রতিশ্রুতিশীল রদ্রিগো, আর্থার মেলোরা। সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সর্বোপরি এটি হতে যাচ্ছে বছরের শেষ আলোচিত প্রীতি ম্যাচ।
Leave a reply