পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী সদর উপজেলা ১২ নং বড় বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের টানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্য। এঘটনায় ১২ জন ইউপি সদস্যের মধ্য ৯ জন (১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। যার অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কয়েকটি দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামন ওরফে মজনু মোল্লার সাথে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কামাল হোসেনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়-সদর উপজেলা পরিষদের ১২ নং বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাড়ে তিন বছর দায়িত্ব পালনকালে জি.আরসহ সকল প্রকল্পের চাল ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। পরে ক্ষমতার প্রভাবে জোর পূর্বক ভুয়া মাস্টাররোলে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর নেয়া হয়। এছাড়াও ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় সাড়ে তিন বছরে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকার ৬৮ শতাংশ অর্থ বিভিন্ন দপ্তরের দেয়ার অজুহাতে চেয়ারম্যান ও সচিব হাতিয়ে নিয়েছে। এডিপি প্রকল্পের প্রতি বছরের কাজ না করে সদস্যদের অবহিত না করে সকল অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয় বলে ওই অভিযাগে বলা হয়। বিগত দিন থেকে ইউপি সদস্য মাসিক সম্মানি ভাতা এখন পর্যন্ত পরিষদ করা হয়নি। সচিব কামাল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের নিয়মিত না আসায় চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় ইউনিয়ন বাসীকে।
১২ জনের মধ্য ৯ জন অভিযোগকারীরা হলো-৭-৮-৯ ওয়ার্ডের সদস্য খাদিজা বেগম, ১ নং ওর্য়াডের খোকন হালদার, ৯ এর আলমগীর গাজী,৫ এর মতিন জোমাদ্দার,৮এর বাবুল আক্তার,৬ এর জামাল হোসেন,৭ এর আলমগীর খান, ২ এর কাঞ্চন আলী প্যাদা, ৩ এর মাসুম বিল্লাহ।
তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে মজনু মোল্লা জানান-তাদের কিছু দাবি-দাওয়া না মানার রেষ ধরে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। চেয়ারম্যান হলে অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়। তবে আশাকরি এর সমাধান হবে। ইতিমধ্য কয়েকজন পুনরায় আমার কাছে আসছে এবং তাদের সাথে কথাও হয়েছে।
অপরদিকে ইউপি সচিব কামাল হোসেন বলেন- চাইলেই কি সকল অর্থ আত্মসাৎ করা যায়। তাদের অপ্রাসঙ্গিক দাবি না মানার রেষে এই কাজে লিপ্ত হয়েছে।
আর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি বলেন, অভিযোগ এখন পর্যন্ত হাতে পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a reply