টানা ৫৫৭ ঘন্টা অর্থাৎ প্রায় ২৪ দিন তবলা বাজিয়ে ‘গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এ স্থান করে নেয়া সুদর্শন দাস এখন নিজ জন্মস্থান চট্টগ্রামে। তবলার পাশাপাশি একটানা ২৭ ঘন্টা ঢোল বাজানোর বিশ্বরেকর্ডও তার দখলে। চট্টগ্রামে এসে এই তবলাবাদক জানালেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরাই তার স্বপ্ন।
মাত্র চার বছর বয়সেই তবলার প্রেমে পড়েন সুর্দশন। ১২ বছর বয়সে সার্ক সামিটে অর্জন করেন প্রথম স্বর্ণপদক। এরপর থেকে তবলাই তার ধ্যান জ্ঞান আর সাধনা। ভারতের শান্তিনিকেতনে তবলায় প্রশিক্ষণ শেষে পান ‘তবলা বিশারদ’ আর ‘পন্ডিত’ উপাধি।
৪০ বছর বয়সে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে দুটি রেকর্ডের মালিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ এই নাগরিক। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে টানা ৫৫৭ ঘন্টা অর্থাৎ প্রায় ২৪ দিন তবলা বাজিয়ে আগের সব রেকর্ড ভাঙ্গেন তিনি।
পরের বছর তার দ্বিতীয় রেকর্ড স্থান পায় গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে। ২০১৭ সালের জুনে একটানা ২৭ ঘন্টা ঢোল বাজান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথ, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সহ বিশ্ববরেণ্য অনেক ব্যক্তিত্ব সুদর্শনের গুণে মুগ্ধ। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ‘তবলা এন্ড ঢোল একাডেমি’ নামে একটি মিউজিক স্কুল পরিচালনা করছেন তিনি, তবলার বাদ্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিশ্বময়।
সুদর্শন বলেন, বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার বিশ্বের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।
দেশে বিদেশে হাজারেরও বেশি অনুষ্ঠানে তবলা বাজিয়েছেন সুদর্শন। এত অর্জনের পরও ভোলেননি দেশকে। বাংলাদেশে কিছু করতে না পারার আক্ষেপও তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে। সুদর্শনের পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। নাড়ির টানে প্রায়ই ছুটে আসেন চট্টগ্রামের মাটিতে।
Leave a reply