ভারতে নতুন মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলছে প্রতিবাদ। এর জেরে সরকার বিভিন্ন স্থানে জারি করেছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবু রোখা গেল না মৃত্যু। সহিংসতা আর বিক্ষোভের জেরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। বিক্ষোভ সংঘর্ষে উত্তরপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ জন।
এদিকে শুক্রবার দিল্লির দরয়াগঞ্জে গাড়িতে আগুন লাগানোর জেরে গ্রেফতার করা হয় ১৫ জনকে। পূর্ব দিল্লির সীমাপুরি এলাকা থেকে আটক করা হল ৫ জনকে।
শুক্রবার দিল্লির এই ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫ জন। প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হলেও সন্ধ্যে গড়াতেই হিংসাত্মক হয়ে ওঠে দিল্লি গেট। দরয়াগঞ্জে পুলিশ স্টেশনে থাকা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত জনতা। অন্যদিকে, প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে উত্তরপ্রদেশের জেলাগুলিতে মোতায়েন করা হয় স্পেশাল ফোর্স। কানপুর, সাম্বল, লখনউ, বুলান্দশহর, বিজনৌর, ফিরোজাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাসের পর থেকেই ভারতজুড়ে দ্বেষের চিত্র। জামিয়া মিলিয়া-আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অত্যাচার সেই আগুনেই ঘৃতাহুতি দিয়েছে। সোচ্চার হয়েছে দেশের বিদ্বজ্জন থেকে ছাত্রছাত্রী, রাজনীতিকরা। আটক হয়েছেন কয়েক হাজার। নাগরিকত্ব আইন ‘বৈষম্যমূলক’, এই আইনকে কোনওভাবেই সমর্থন করে না কংগ্রেস, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে শুক্রবার এমনটাই জানালেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার রয়েছে মানুষের। কিন্তু বিজেপি সরকার মানুষের এই অধিকারের প্রতি অন্যায় করেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কন্ঠরোধ করতে চেয়েছে দেশের মানুষের।”
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
Leave a reply