নির্মাণের মাঝপথেই ফাটল ঘাটের সিড়িতে, ভেঙ্গে পড়েছে যাত্রী ছাউনির ছাদও

|

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি-কৌরিখাড়া খেয়াঘাটের দুইপাড়ের ঘাটলা ও যাত্রী ছাউনির নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার শেষ পর্যায় ভেঙ্গে দেবে গেছে কৌরিখাড়া ঘাটের যাত্রী ছাউনির ছাদের মধ্যভাগ,পরিস্থিতি সামাল দিতে লোহার পাইপ বসিয়ে ভাঙ্গন ঠেকিয়ে দায় সেরেছেন ঠিকাদার। তবে যে কোনও সময় বড় ধরনের প্রাণহানির আশংকা রয়েই গেছে।

প্রয়োজনীয় রড,সিমেন্ট না দিয়ে মাত্র দুই ইঞ্চি পুরু একটি দুর্বল ছাদ নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। এছাড়াও নিম্নমানের মালামাল দিয়ে দুইটি ঘাটলা নির্মাণ করায় বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে এবং সিড়ির ধাপ ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে।

পিরোজপুর জেলা পরিষদের অর্থায়নে দশ লাখ টাকা ব্যয়ে সন্ধ্যা নদীর দুইপাড়ে দুইটি ঘাটলা ও একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে মেসার্স শেখ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে ওই কাজ হস্তান্তরের অংশ হিসেবে নাম ফলক স্থাপন করা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সালাম রেজা জানান, চিকন রড ও নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে ৪টি কলম (খুঁটি) নির্মাণ করা হয়েছে। টাই ভীম না দিয়ে সেই দুর্বল খুঁটির উপর মাত্র দুই ইঞ্চি পুরু ছাদ নির্মাণ করা হয়। ছাদের সেন্টারিং খোলার সাথে সাথে মধ্য বরাবর ভেঙ্গে দেবে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠিকাদার একটি লোহার পাইপ বসিয়ে ঠেক দিয়ে কাজ সমাপ্ত করেন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় রড না দিয়ে ছাদ নির্মাণ করায় যে কোনও সময় তা ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন মাসের উপরে চললেও একদিনের জন্য কোনও প্রকৌশলী কাজ তদারকি করতে আসেননি।

এদিকে খেয়াঘাটের টোল আদায়কারী আঃ হাকিম অভিযোগ করেন ঘাটলার সিড়ি নির্মাণেও প্রয়োজনীয় রড, সিমেন্ট দেয়া হয়নি। সে কারণে ঘাটলার বিভিন্নস্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। আদায়কারী হাকিম আরও বলেন নদীর পূর্ব পাড়ে স্বরূপকাঠি ঘাটের পুরনো ঘাটলার সাথে মিলিয়ে নতুন ঘাটলা বানানো হয়েছে। পরে প্লাস্টার করে নতুন ঘাটলা হিসেবে দেখানো হয়। এ ঘাটলারও বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে সিড়ির ধাপ গুলো ভেঙ্গে উঠে যাচ্ছে।

এ বিষয় কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো.মনিরুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কাজের মান ঠিক হয়নি এবং ছাদের পুরুত্ব করতে হবে ৫ ইঞ্চি। প্রকৌশলী বলেন ওই কাজগুলো ভেঙ্গে নতুন করে আবার কাজ করানো হবে।

জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

জেলা পরিষদের সদস্য (স্বরূপকাঠি থেকে নির্বাচিত) মো. সেলিম মিয়া বলেন কাজের মান খুবই খারাপ হয়েছে। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি দেশে ফেরার পর তাকে জানানো হবে এবং তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply