ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন আওয়ামী লীগের নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিপি নুরকে দেখতে যান তারা। তাদের সাথে ছিলেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
হাসপাতালে তাদের দেখে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কর্মীরা উত্তেজিত আচরণ করেন। তাদের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে স্লোগান দেন তারা। তাদের শান্ত করে আহতদের দেখে আসেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র দুই নেতা।
পরে গণমাধ্যমকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নুরসহ অন্যদের ওপর পৈশাচিক হামলা হয়েছে, হামলাকারী যে মঞ্চই হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে যারা নাটক করেছে ও হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা করছে তাদেরও কুমতলব আছে। হাসপাতালের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।
রোববার সকালে ডাকসুতে নুরসহ তার সাথে থাকা কর্মীদের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা। পরে তারা ডাকসুর ভেতরে গিয়ে নুর ও কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। ডাকসুর ভেতরে বাহিরে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভিপি নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে প্রক্টর গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। নুরসহ আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংঘর্ষে আগে নুরের কক্ষে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তার বহিরাগত শিবির ক্যাডারদের নিয়ে ক্যাম্পাসে হামলা ও অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিলো পাগলা নূরা, সচেতন শিক্ষার্থী ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ স্বাধীনতা বিরোধীদের সমুচিত জবাব দিয়েছে, এই ক্যাম্পাসে কোন স্বাধীনতা বিরোধীদের জায়গা হবে না।’
আর হামলার অভিযোগের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নুর ডাকসুতে বহিরাগত শিবিরের সন্ত্রাসীদের নিয়ে অবস্থান করছিল এ খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করে। এসময় নুররা গুলি ছোড়ে এতে আমাদের ঢাবি সভাপতি সনেট আহত হয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী যমুনা নিউজকে বলেন, ডাকসু ভবনে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। ক্যাম্পাসে মত পার্থক্য থাকতে পারে, অতীতেও ছিল। মারামারির ঘটনা দুঃখজনক।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে তোলা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত অভিযোগের কথা শুনেছেন জানালেও এ বিষয়ে পরবর্তীতে কোনো আপডেট দেয়নি প্রক্টরিয়াল টিম।
Leave a reply