এক সময়ে পায়ে ছিলো লোহার জুতা, সেই বাধা পেরিয়ে তিনি এখন বিপিএলে গতি-স্লোয়ারে চমক দেখাচ্ছেন। গল্পটা এমনই রংপুর রেঞ্জোর্সের হয়ে খেলা মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর। রংপুরের জন্ম নেয়া এই তরুণের জীবনই ছিলো শঙ্কার মাঝে, সব বাধা জয় করে সেই মুগ্ধই এখন স্বপ্ন দেখেন দেশের হয়ে খেলার। তার ক্যারিয়ারের জন্য বাবার করা ঋণ পরিশোধ করাও মুগ্ধর জন্য এক চ্যালেঞ্জের নাম।
রংপুরের মিঠাপুকুরে তার জন্মটা ছিলো যুদ্ধ। মা পারভীন বেগমের প্রথম সন্তান মৃত্যুর পর, আর মা হতে চাননি। এরপর এই র্দূবার পেসার এসেছে ঠিকই, কিন্তু তিন বছর বয়সে দুই পা বাঁকা হয়ে মুড়িয়ে যেতে শুরু করে। ডাক্তার পরিয়ে দেন লোহার জুতো। সর্তকর্বাতা, দৌড়ালেই পঙ্গুত্ব।
সেই লোহার জুতা ভেঙে উঠে দাড়িয়েছেন মুগ্ধ। রুপকথার গল্পর মতো তিনি শুধু দাড়াননি, অনুর্ধ্ব ১৪ থেকে ১৯ খেলেছেন বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলে।
নামের মতই গতি আর স্লোয়ারে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন বিপিএলে। চোখ এড়ায়নি দেশের পেস আইকন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে ফোকাসে আসা এই পেসারের পেছনের গল্পটা কিন্তু ২২ গজের মায়াবি গালিচার চেয়েও সবুজ
মুগ্ধ বলেন, ৫ বছর বয়সে জুতাটা পড়া বাদ দিয়েছি। তারপর ক্লাস ফাইভ থেকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।
৬ ফিট এক ইঞ্চির মুগ্ধ শুরুতে করতেন অফ স্পিন। রংপুর উঠে আসা তরণের ধ্যান জ্ঞান শুধুই ক্রিকেট। বাবা মার সাথে তার প্রেরণা দাদী।
মুকিদুলের জীবনে অতীত তার কাছে একটা সাদাকালো ক্যানভাস। যেখানে রঙ তুলির আচড়ে এখন আকঁতে চান রঙিন গল্প, লাল সবুজের জার্সিতে রাঙাতে চান পৃথিবী।
বাবা-মার একটা স্বপ্ন আমাদের ছেলেকে এখন সাকিব মোস্তাফিজ এদের সাথে খেলতে দেখবে বলে জানান মুগ্ধ।
মুগ্ধের অনুপ্রেরণার বাতিঘর সেই মা এখন অসুস্থ। ভালো নেই ছোট বোনটাও। আর ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে যেয়ে বাবা হয়েছেন ঋণী। বাবা মায়ের জীবন সংগ্রাম, মুগ্ধর লক্ষ্য অন্তত ঋণের জাল থেকে মুক্ত করা।
Leave a reply