গেল সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে পেয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। এরপর নানা আশ্বাস দেওয়া হলেও, বাজার স্বাভাবিক হয়নি। নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায়, দামের অস্বস্তি কাটতে শুরু করেছিলো। তাও স্থায়ী হলো না। গত তিনদিনে একটু একটু করে আবার বাড়তে শুরু করেছে দাম। আমদানি করে মজুদ বাড়ানোর তাগিদ উঠেছে।
বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর দাম কিছুটা কমলেও আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। মানভেদে নতুন পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। ভরা মৌসুমেও দাম বাড়ায় ক্রেতারা ক্ষুব্ধ।
এদিকে, আজ থেকে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমিয়ে ৩৫ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি।
খুচরা দোকানিরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। বাজারে অভিযান না থাকার সুযোগে মধ্যস্বত্বভোগীরা ক্রেতাদের পকেট কাটছে।
তবে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, গেলবারের তুলনায় এবছর পেঁয়াজের ফলন কম। গত ক’দিনের তীব্র ঠান্ডার কারণে বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দামে।
ঘাটতি মোকাবেলায় যথেষ্ট পেঁয়াজ আমদানি নেই। অন্যদিকে আগাম ফলন সন্তোষজনক নয় বলে জানাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
আমদানি করা এক কেজি চায়না পেঁয়াজের জন্য গুণতে হচ্ছে ৭০ টাকা । মিশরীয় ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ যথাক্রমে ৮০ ও ১৩০ টাকা।বাজারে নেই পুরনো দেশি পেঁয়াজ। যৎসামান্য মিললেও এক কেজির জন্য দিতে হবে ২৩০ টাকা।
Leave a reply