বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে নাটকীয়ভাবে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যেই মার্কিন ও ইরানি সূত্র এই খবর নিশ্চিত করেছেন বলে এএফপির খবরে জানা গেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডসও জেনারেল কাসেমের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, মার্কিন হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরানপন্থি বিক্ষোভকারীরা চলতি সপ্তাহে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করার পর তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোলাইমানির মৃত্যুর পর মার্কিন পতাকার একটি চিত্র টুইটারে পোস্ট করেন ট্রাম্প। তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
ইরাকি মাটিতে মার্কিন ও ইরানের মধ্যে ছায়াযুদ্ধের উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কার মধ্যেই সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে গেছে।
শুক্রবার সকালে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ইরান সংশ্লিষ্ট ইরাকি আধাসামরিক বাহিনী হাশেদ আল শাবির একটি বহরের ওপর এই হামলা করা হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা পরে ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর একটি বিবৃতি প্রচার করেছে। তাতে বলা হয়েছে, আজ সকালে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় সোলাইমানি নিহত হয়েছেন।
ইরানের এই শীর্ষ কমান্ডার ছাড়াও হাশেদের উপপ্রধান মাহদি আল-মুহান্দিস নিহত হয়েছেন।
বিবৃতি জানায়, হাশেদের উপপ্রধান আবু মাহদি ও আল কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি মার্কিন হামলায় নিহত হয়েছেন।
Leave a reply