এক সময় এই সেনাবাহিনী তাকে গৃহবন্দী করে রেখেছিলো। কারণ, তখন তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতেন। এখন নামকাওয়াস্তে চলা গণতন্ত্রে উত্তরণের পরও মূলত মিয়ানমারের রাজনীতি ও সরকার পরিচালনা করে দেশটির সেনাবাহিনীই।
সেই সেনাবাহিনীর প্রতি বর্তমানে চরম নিষ্ঠার সাথে আনুগত্য প্রদর্শন করে চলেছেন অং সান সু চি। রোহিঙ্গাদের গণহত্যায় অভিযুক্ত সেনা জেনারেলদের পক্ষে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। গণহত্যার নির্দেশ দেয়া ব্যক্তিদেরকে সু চি নির্দোষ বলে দাবি করেছেন হেগ-এর আদালতে।
এক সময় নিজের নিপীড়কের প্রতি এখন এমন আস্থা ও আনুগত্য প্রদর্শন অবশ্য বেকার যাচ্ছে না সু চির জন্য। অতি সম্প্রতি সু চির বাবাকে সম্মান জানিয়ে তার ছবি সম্বলিত ১০০০ কিয়াটের নোট চালু করেছে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সু চির বাবা সাবেক মেজর জেনারেল অং সানকে মিয়ানমারের ‘ফাদার অব দ্য ন্যাশন’ মনে করা হয়। তিনিই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা।১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতার কয়েক মাস আগে অং আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।
Leave a reply