ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটিতে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব দেয়ার চেষ্টা করলে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইরান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইরাকে দুই মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর দেশটি এ হুমকি দিয়েছে। সূত্র: সিএনএন, আল জাজিরা।
বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, ইরাকের ওই দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটির নাম আল-আসাদ ও ইরবিল। সেখানে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছিল।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও ইরানের দাবি, অন্তত ৮০ মার্কিন ‘সন্ত্রাসী’তে হত্যা করেছে তারা। এর আগে, ইরানের পার্লামেন্টে বিল পাশ করে মার্কিন সামরিক বাহিনী ও পেন্টগণ সম্পর্কিত সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম এক বিবৃতিতে জানান, ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় হামলা হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রেসটিভি এক টুইট বার্তায় উল্লেখ করেছে, একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ১০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র ফের কোনো হামলা চালায়, তবে আরও কঠোর প্রত্যাঘাত করা হবে।
ইরানে সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসী’ সেনাবাহিনীকে নিজেদের ঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে তাদের সতর্ক করছি, যেসব অঞ্চল বা এলাকা থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি ‘শ্যাডো কমান্ডার’ খ্যাত জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। এরপরই ইরান চরম প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ও যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a reply