ভোররাতেই ইরান থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র যায় ইরাকের দিকে। ইরাকের মাটিতে যেখানে মার্কিনী সেনার ছাউনি রয়েছে সেখানে হামলা হয় মিসাইলের। আর ঠিক তার পরেই সকালে দিনের আলো ফুটতেই ইরানের খামিনি বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনের বিমান উড়তেই তা আকাশের জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড হয়ে ভেঙে মাটিতে ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
এমন এক ঘটনায় মার্কিন-ইরান উত্তেজনা ইউক্রেনের বিমান ভেঙে পড়ার নেপথ্যের কোনও ‘কারণ’ হিসাবে থেকে গেল কি না, তা নিয়ে এখনই কোনও সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না কিয়েভ।
প্রাথমিক তদন্তে কিয়েভ জানিয়ে ছিল ১৭০ জন যাত্রী নিয়ে রওনা হওয়া ইউক্রেনের বিমানে ক্রু সহ ১৭৬ জনের মৃত্যুর নেপথ্যে বিমান পরিষেবার কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকতে পারে।
তবে এখন ইউক্রেন বলছে, বিমানে ‘হামলা’র শঙ্কাও তারা উড়িয়ে দিচ্ছে না একেবারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে।
ইউক্রেনের মিডিয়া রিপোর্ট কী বলছে?
ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম UNIAN এর তথ্য অনুযায়ী, ইরানের সেনারা ভুল করে ইউক্রেনের বিমানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। আর তার জেরেই মুহূর্তে প্রাণ গিয়েছে ১৭৬ জনের। তবে এখনই কিয়েভ এমন বক্তব্যে বিশ্বাস করতে রাজি নয়। আনুষ্ঠানিক তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই সমস্ত বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করতে রাজি নয়।
ইউক্রেনের সাহায্যে কানাডা থেকে একটি তদন্তকারী দল ইরানে যাবে গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করতে দেখতে। কারণ, যে বিমানের দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে ৬৩ জন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন।
তবে আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডার তদন্তকারী বহু অফিসারের দাবি বিমানের ইঞ্জিন থেকেই জানা গিয়েছে যে ওই বিমান দুর্ঘটনার শিকার। তবে তদন্ত এখনও অনেক বাকি।
অন্যদিকে ইরান জানিয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্র বা বোয়িং কারো কাছে বিধ্বস্ত বিমানের ব্লাকবক্স হস্তান্তর করবে না। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিজেরা তদন্তের কথা জানিয়েছে হাসান রুহানি সরকার।
তেহরানের অসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এটা স্পষ্ট নয় যে, তদন্তের জন্য কোন দেশের হাতে বিমানের ব্ল্যাকবক্স যাবে। ওই দুর্ঘটনার কারণ ইরানের অসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থাই তদন্ত করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে তেহরান। তবে তদন্তের সময় ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানিয়েছে ইরান।
Leave a reply