দুই দশকের প্রাণঘাতী যত ভাইরাস

|

চীনে সম্প্রতি নতুন রহস্যজনক এক ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে, যা ছড়িয়ে পড়া আটকাতে বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরগুলোয় নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। দুই দশকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক নতুন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। তেমনই কয়েকটি প্রাণঘাতী ভয়ংকর ভাইরাস নিয়ে এ প্রতিবেদন-

বার্ড ফ্লু (এইচ৫এন১) : ১৯৯৭ সালে হংকংয়ে এইচ৫এন১ ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপর ২০০৩, ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৬৩০ জন বার্ড ফ্লুতে সংক্রমিত হয়েছেন এবং ৩৭৫ জন মারা গেছেন।

নিপাহ ভাইরাস : ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার পাংকর দ্বীপের ছোট্ট শহর কামপুং তেলুক নিপাহতে নতুন একটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়। পরের বছর ওই শহরের নামে ভাইরাসটির নামকরণ হয় নিপাহ। এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর আশঙ্কা ৫৪ শতাংশ। ২০১৮ সালে ভারতের কেরালায় এ ভাইরাস সংক্রমণে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে অন্তত ১০ জন মারা যান।

সার্স ভাইরাস : সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব হয় চীনে। ২০০২ ও ২০০৪ সালে এশিয়ার কয়েকটি দেশে সার্স ভাইরাস মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। আট হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। মারা যান প্রায় ৭৭৪ জন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট হয়। ২০০৪ সালের পর এই ভাইরাসে প্রাদুর্ভাবের খবর আর পাওয়া যায়নি।

সোয়াইন ফ্লু : ২০০৯ সালে প্রথম বিশ্বজুড়ে এইচ১এন১ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। শূকরের ফ্লুর সঙ্গে লক্ষণ মিল থাকায় একে সোয়াইন ফ্লু নাম দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১ থেকে ২১ শতাংশ মানুষ এ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন। দেড় লাখ থেকে ছয় লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

মার্স ভাইরাস : মিডলইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) সার্স ভাইরাস গোত্রেরই একটি ভাইরাস। ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। দেশটিতে মার্সে আক্রান্ত প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ মারা যান। উট থেকে এই ভাইরাস মানবদেহে ছড়ায় বলে ধারণা করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply