দেশের ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা মোনেম মুন্নার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে চলে যান ‘কিং ব্যাক’ খ্যাত এই তারকা।
২০০৫ সালে কিডনির জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেছেন বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। এরআগে ১৯৯৯ সালে কিডনি রোগে আক্রান্ত হন তিনি। পরের বছর মার্চে বোন শামসুন নাহারের কিডনি তার দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে তার ৫ বছর পর মৃত্যুবরণ করেন কিংবদন্তী এই ফুটবলার।
আশির দশকের মাঝামাঝি বাংলাদেশের ফুটবলে মুন্নার উত্থান। সালটা ১৯৮৪। প্রথম দুই মৌসুম মুক্তিযোদ্ধায়। এরপর এক মৌসুম ব্রাদার্স ইউনিয়নে। ১৯৮৭ সালে তিনি যোগ দেন আবাহনী শিবিরে। সেখানে পার করে দেন পুরো ফুটবল ক্যারিয়ার। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় ফুটবলার। ১৯৯১ মৌসুমের দলবদলে তিনি আবাহনীতে খেলেছিলেন ২০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে, যা অনেক দিন পর্যন্ত বাংলাদেশেই শুধু নয়, গোটা উপ-মহাদেশে ছিল এক অনন্য রেকর্ড। জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন একাধিকবার। ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমস দিয়ে গায়ে জড়িয়েছিলেন জাতীয় দলের জার্সি। এরপর দু’-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে তিনি জাতীয় দলে খেলেছেন টানা ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। ১৯৯০ সালে বেইজিং এশিয়ান গেমসে মোনেম মুন্না প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরেছিলেন। তার নেতৃত্বেই ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারে চার জাতি প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করেছিল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে যা বাংলাদেশের প্রথম কোনো শিরোপা।
Leave a reply