একুশের চেতনা জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়ে সমাজে মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করছেন তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেয়া হয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’। এবছর এই পুরস্কার দেয়া হয় ২০ গুনি ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময়, নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতি ও কৃষ্টি রক্ষা করে দেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেটের ৩৫ গ্রামের স্বর্ণ পদক, চেক ও সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। চলতি বছর শিল্পকলায় ৪ জন, মুক্তিযুদ্ধে ৩, ভাষা ও সাহিত্য ৩, গবেষণায় ২ জন এবং আরও আটটি ক্যাটাগরিতে ৮ জনকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে। পুরস্কার দেয়া হয় এক প্রতিষ্ঠানকেও।
অনুষ্ঠানে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে একুশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে মাতৃভূমিকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগীতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন-
সংগীতে বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক।
নৃত্যে মো. গোলাম মোস্তফা খান।
অভিনয়ে এম এম মহসীন।
চারুকলায় অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান।
ভাষা আন্দোলন: আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর)।
মুক্তিযুদ্ধে (মরণোত্তর): হাজি আক্তার সরদার, আব্দুল জব্বার, ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার)।
সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর)।
গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ।
শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া।
অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, মরহুম সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি।
চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার।
প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণায় একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনিস্টিটিউট।
Leave a reply