প্রতিবেশী পাকিস্তানে পঙ্গপালের উপদ্রব মোকাবেলায় এক লাখ হাঁসের বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। খবরে বলা হয়েছে, এসব হাঁসের ঝাঁক পঙ্গপাল খেয়ে ফতুর করে দেবে।
একজন কৃষি বিশেষজ্ঞ বলেন, একটি হাঁস দুই শতাধিকের বেশি পঙ্গপাল খেয়ে সাবাড় করতে পারে, যা কীটনাশকের চেয়েও বেশি উপকারী।
তবে এই হাঁস কতটা উপকারী হবে, তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি সপ্তাহে চীন সরকার ঘোষণা করেছে, পঙ্গপালের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা পাকিস্তানে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে।
গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক পঙ্গপাল হামলার মুখে পড়েছে পাকিস্তান। কীটপতঙ্গ ও পঙ্গপালভোজী এসব হাঁস চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জেইজিয়াং থেকে পাঠানো হবে।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিনজিয়াং অঞ্চলে ২০ বছর আগে পাকিস্তানের অনুরূপ পঙ্গপালের মুখে হংস বাহিনী ব্যবহার করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল চীন। এ জাতীয় হাঁসের খাদ্য তালিকায় কীটপতঙ্গসহ পঙ্গপাল রয়েছে।
হংস বাহিনী ব্যবহারে দুই ধরণের উপকার পাওয়া যাবে। খবরে বলা হয়েছে, এতে কীটনাশকের তুলনায় একদিকে খরচ কম পড়বে, অন্যদিকে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। এ ছাড়া মুরগির তুলনায় হাঁসরা দলবেঁধে থাকতে পছন্দ করে বলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হবে।
Leave a reply