নাটকীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মার্কিন নির্বাচনের দুই ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স ও জো বাইডেন। মঙ্গলবার ‘সুপার টুসডে’তে ১৪টি স্টেটের মধ্যে মাত্র ৪টি স্টেটে ডেমোক্রেট ডেলিগেটসদের সমর্থন জিততে পেরেছেন বার্নি, অপর ১০টি স্টেটে জিতেছেন বাইডেন।
অভিনব সব প্রতিশ্রুতি নিয়ে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আলোচনায় এসেছেন বার্নি স্যান্ডার্স। সকল শিক্ষাঋণ মওকুফ করা, সবার জন্য সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে যুদ্ধরত মার্কিন সৈন্যদের দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনার প্রতি জোর দিয়েছেন বার্নি। অনেক আমেরিকানই তাকে ডাকছেন ‘কমিউনিস্ট’ হিসেবে। স্টাবলিশমেন্টের তরফে আসা এ সকল অপবাদ সামলে নিয়ে ডেমোক্রেটদের চূড়ান্ত মনোনয়ন জিততে চাইছেন বার্নি। এজন্য তরুণদের সমর্থনের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। কিন্তু সেই তরুণদের কাছ থেকেই এলো বড়ো ধাক্কা!
২০১৬ সালের মনোনয়ন দৌড়ে তরুণদের কাছ থেকে যে বিপুল সাড়া পেয়েছিলেন বার্নি এবার সেটি অনেকটাই ম্লান। ভোটের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় সব স্টেটেই বার্নির প্রতি তরুণদের সমর্থন কমেছে। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ওকলাহোমায়। সেখানে বার্নির ভোট কমেছে ৪০ ভাগের মতো। এর বাইরে নর্থ ক্যারোলিনায় তার ভোট কমেছে ২০ ভাগ। তরুণদের এমন আচরণে বার্নির চূড়ান্ত জয়ের আশা হুমকির মুখে।
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করছেন, বার্নির ইশতেহারের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না খোদ ডেমোক্রেটরাই। তাই শুরুতে তার অভিনব প্রতিশ্রুতিগুলো জনপ্রিয়তা পেলেও জো বাইডেনের প্রথাগত প্রচারণার মুখে এখন তা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী নির্বাচনে এ পর্যন্ত ৫০টি স্টেটের মধ্যে ফল বের হয়েছে ১৮টি স্টেটের। প্রার্থিতা আদায় করে নিতে হলে ৩৯৭৯ জন ডেলিগেটের ভেতর থেকে কমপক্ষে ১৯৯১ জন ডেলিগেটের সমর্থন পেতে হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জো বাইডেন ৪৫০ জন ডেলিগেটের সমর্থন নিয়ে প্রার্থিতার দৌড়ে সবার উপরে অবস্থান করছেন।
শেষ মুহূর্তে অশ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের পাশাপাশি তরুণদের কতটা কাছে টানতে পারবেন তার ওপরই নির্ভর করছে বার্নি স্যান্ডার্সের আমেরিকা বদলের স্বপ্নযাত্রা।
Leave a reply