সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ওপর নাৎসিদের মতো আচরণ করছে গ্রিস। ইউরোপ সীমান্তে চলমান সংকট নিয়ে এমন অভিযোগ তুর্কি প্রেসিডেন্টের। সংকট সমাধনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছেন এরদোগান।
এদিকে, সীমান্তে অপেক্ষারতদের নিজ দেশে ফিরতে মাথাপিছু ২ হাজার ইউরো সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ইইউ।
গেল কয়েকদিনে সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল বেড়ে যাওয়ায় এ ঢল ঠেকাতে কোন প্রস্ততিই বাকি রাখেনি গ্রিস। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারি অস্ত্র ও সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত সীমান্তরক্ষীরা।
নিউইয়র্ক টাইমসের দাবি; সীমান্ত রক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ গ্রিসে ঢুকে পড়লে তাদের নেয়া হচ্ছে ডিটেনশন সেন্টারে। চালানো হচ্ছে নির্যাতন। যদিও তা প্রত্যাখ্যান করেছে এথেন্স।
গ্রিস সরকারের মুখপাত্র স্টিলিওস পেটসাস বলেন, গ্রিসে গোপন কোন ডিটেনশন সেন্টার নেই। নিউইয়র্ক টাইম যে দাবি করেছো তা পুরোপুরি মিথ্যা। আমাদের সীমান্ত রক্ষীরা সংবিধান মেনেই দায়ীত্ব পালন করেছ। তবে অভিবাসীদের ঢল ঠেকাতে শেষ মুহূর্তে কিছু আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
চলমান সংকট নিয়ে তুরস্কের অভিযোগ, অভিবাসনপ্রত্যাশিদের ওপর নাৎসি বাহিনীর মতো আচরণ করছে গ্রিস সরকার। সংকট সমাধানে সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান প্রেসিডেন্ট এরদোগানের।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, নাৎসি বাহিনীর সাথে গ্রিস নিরাপত্তা বাহনীর কোন পার্থক্য নেই। তারা নিরীহ মানুষদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে, গরম পানি ছুড়ে মারছে। এমন পরিস্থিতি থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হবে। তাদের জন্য নিরাপদ বিশ্ব গড়া আমাদের দায়ীত্ব।
এদিকে, অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরে যেতে প্রত্যেককে দুই হাজার ইউরো করে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
Leave a reply