আঙুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর না মেলায় ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম। তিনি রাজধানীর উত্তরার ভোটার। মাইগ্রেট করে এ আসনের ভোটার হয়েছিলেন। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটার হওয়ার বাধ্যতামূলক নয়।
শনিবার সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাজধানীর কলাবাগান লেক সার্কাস স্কুল ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান। তিনি পুরুষ ভোটকেন্দ্রের ৬ নম্বর বুথে ভোট দিতে যান। কিন্তু আঙুলের ছাপ না মেলায় তিনি ভোট দিতে পারেননি। তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও মেলেনি। সার্ভারেও নৌকার প্রার্থীর নাম নেই। ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করে কেন্দ্র ত্যাগ করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম।
এ ব্যাপারে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আহসানুল হক গণমাধ্যমকে জানান, শফিউল ইসলাম রাজধানীর উত্তরার ভোটার ছিলেন। তিনি মাইগ্রেট করে ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হয়েছেন। কিন্তু কোনো সমস্যার কারণে হয়তো ঠিকমতো মাইগ্রেট হয়নি। তাই ভোট দিতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে শফিউল ইসলাম বলেন, কারগিরি ত্রুটির কারণে এমনটা হতেই পারে। ইভিএমে সিটি নির্বাচনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার ভোট দিতে সমস্যা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইভিএমে এক মিনিটে ভোট দিয়েছেন। সময় লাগেনি।
গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের সাংসদ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করলে ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসনটি শূন্য হয়।
Leave a reply