দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর দ্বিতীয় ধাপে সংকট চলছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভসসহ জীবাণু প্রতিরোধী সামগ্রীর। সাথে বেশি বেচা-কেনা হচ্ছে অ্যাজিথ্রোমাইসিন’সহ কিছু ওষুধের। গুজব রটেছে এসব ওষুধ করোনা প্রতিষেধক।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ খেলে তা মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছুটেও মিলছে না কোন জীবানুনাশক। ছোট বড় ফার্মেসি মালিকদের দাবি, চাহিদার তুলনায় যোগান খুবই কম, তাই এই নতুন সংকট। জীবানুনাশকের অভাবের পাশাপাশি গেল কয়েক দিনে অস্বাভাবিক বেড়েছে হাতেগোনা কয়েকটি ওষুধের বিক্রি। করোনা প্রতিষেধক হিসেবেই নাকি অনেকে আগে ভাগে কিনে রাখছেন বেশ কয়েকটি ওষুধ।
লাজ ফার্মার চিফ ফার্মাসিস্ট ইউছুফ আল-আমিন বলেন, আসলে আতঙ্কিত হয়েই মানুষ এসব ওষুধ কিনছে। যাতে নিজে বা তার পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে ওষুধ সংকটে না পরতে হয়।
এসব ওষুধ, বাত ব্যাথা, রক্ত শুন্যতা, কিডনি রোগীদের নিয়মিত প্রয়োজন হতো, এখন তারা বিপাকে পড়েছেন ওষুধের জন্য। অন্যদিকে, চিকিৎকের পরামর্শ ছাড়া এমন ওষুধ সেবন ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে মনে করেছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান ডাঃ মোঃ শাইখ আব্দুল্লাহ বলেন, এসব ওষুধ করোনার প্রতিষেধক হিসেবে কোনভাবেই কাজ করে না বরং এগুলো একসাথে সেবন করলে কার্ডিয়াক এ্যাটাকসহ চোখ ও মাথার সমস্যা হতে পারে। কোনও ক্ষেত্রে রোগী মারাও যেতে পারে।
Leave a reply