ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে গত ৩ এপ্রিলের মধ্যে করোনাভাইরাসে হাসপাতালগুলোর বাইরে আরও ২,১০০ জন মারা যাওয়ার নতুন হিসেব প্রকাশ হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিচর্যা অধিদফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৪০৯৩ হলেও জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের (ওএনএস) মতে এ সংখাটি ৬২৩৫।
মৃত্যুর সংখ্যার এই পার্থক্যের কারণ হলো দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (ওএনওস), কেয়ার হোম ও প্রাইভেট হোমের মৃত্যুগুলোকেও তাদের হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে যাদের মৃত্যু সনদে কারণ হিসেবে করোনাভাইরাস উল্লেখ ছিল।
ওএনএস জানিয়েছে যে, ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে সাপ্তাহিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৩৮৭। ২০০৫ থেকে এখন পর্যন্ত এক সপ্তাহে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এই মৃত ব্যক্তিদের ২১ শতাংশ করোনায় মারা গেছে।
৩ এপ্রিল পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে লন্ডনে মোট মৃত্যুর ৪৬.৬ শতাংশ করোনাভাইরাসের কারণে হয়েছে। এছাড়া, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর পরিমাণ ২২ শতাংশ।
ওএনএস এর মতে, ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহে হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ৩৭১৬, এছাড়া বাকি মৃত্যু গুলো ঘটেছে কেয়ার হোম ও বাড়িতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি উদ্বেগের বিষয় যে, কেয়ার হোমগুলোতে যারা কাজ করছে তাদেরও মৃত্যু হচ্ছে, কিন্তু তারা যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে না।
সোমবার চিফ মেডিকেল অফিসার ক্রিস হুইটি বলেছিলেন যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রিটেনের কেয়ার হোমগুলিতে ৯২ জন নতুন করে করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
দেশটির স্থানীয় সরকারের মুখপাত্র ইয়ান হুডস্পেথ বলেছেন, এই রোগে প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক। ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেকের জন্য আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কেয়ার হোমের বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এই অধিক মৃত্যু হার আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। কেয়ার হোমগুলোর জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং টেস্টিং কিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি দ্রুত নিশ্চিত করার প্রয়োজন।
Leave a reply