করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত করেছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে বিয়ার প্রস্তুতকারক শিল্প।
গত ২৫ মার্চ থেকে ভারতে লকডাউন শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় সেটি বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করা হয়। চলতি সপ্তাহেই তা আরও বাড়িয়ে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত করা হয়েছে। যার ফলে দেশটির অন্তত ২৫০টি সুরা প্রস্ততকারক সংস্থার আট লাখ লিটার বিয়ার নষ্ট হতে চলেছে। সংরক্ষণের অভাবে নর্দমায় ফেলে দিতে হবে এসব বিয়ার। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
এবিপি আনন্দ জানাচ্ছে, ভারতের উত্তর দিকের একাধিক রাজ্যে প্রায় ভারতে তৈরি ফরেন লিকারের ১.২ মিলিয়ন কেস ঘরবন্দি হয়েই পড়ে রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৭০০ কোটি টাকা। এসব বিয়ার আগামী অর্থবর্ষে বিক্রির জন্য আবেদেন করেছে অনেক সংস্থা। যদিও এই বিষেয়ে সরকারি তরফে কোনও নির্দেশিকা এখনও আসেনি।
এদিকে, বিয়ার সংরক্ষণ করতে না পেরে হাজার হাজার লিটার বিয়ার নর্দমায় ফেলতে হচ্ছে একাধিক সংস্থাকে। সতেজ বিয়ারের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে এবং তা সংরক্ষণের জন্যও প্রয়োজন হয় নির্দিষ্ট তাপমাত্রার। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না থাকার কারণে প্রস্তুতকারকরা সেটি সংরক্ষণ করতে পারছেন না। দেশটির যদি এখনই কোনও বন্দোবস্ত না করে, তাহলে প্রায় আট লক্ষ লিটার বিয়ার সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হবে এবং তা নর্দমায় ফেলতে হবে।
ভারতের সুরা প্রস্ততকারক সংস্থার চেয়ারম্যান নকুল ভোঁসলের জানান, নতুন করে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার কিছু জায়গায় ছাড় দিয়েছে। কিন্তু বিয়ার বার, ক্লাব খোলার ক্ষেত্রে ছাড় নেই।
ভারতের সুরা প্রস্ততকারক সংস্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে ৫০ হাজার শ্রমিক যুক্ত। লকডাউনের কারণে এদের অনেকে কাজ হারানোর শঙ্কায় পড়েছে
Leave a reply