হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি ও ত্রাণের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সন্ধ্যায় অভিযোগের সত্যতা মেলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাত রানা।
এসময় চেয়ারম্যানের অফিস থেকে ৩৪ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান চেয়ারম্যান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া ভিজিডি ও ত্রাণ বিতরণের জন্য প্রায় সাড়ে ৫ টন চাল বরাদ্দ নেন। কিন্তু এসব চাল বিতরণে নানা অনিয়মের তথ্য পেয়ে আজ বিকেলে অভিযান চালায় ভ্রমমাণ আদালত। এসময় তার অফিস কক্ষ থেকে ১ হাজার ৭০৫ কেজি চাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চালের মধ্যে ত্রাণের ১৪৮টি প্যাকেটে ১০ কেজির পরিবর্তে পাওয়া যায় ৯ কেজি করে। আর ভিজিডি’র ৩০ কেজির বস্তা ছিল ১২টি। এসময় ই্উপি চেয়ারম্যান বাকি চাল বিতরণের দাবি করলেও কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ইউপি চেয়ারম্যান দাবি করেছেন চাল পরিবহন বাবদ ট্রাক ড্রাইভারকে ৬০ কেজি, লোড-আনলোড বাবদ ৮০ কেজি ও ৮ জন হিজরাকে ৮০ কেজি চাল বিতরণ করেছেন। কিন্তু এগুলোর কোন দালিলিক প্রমাণ তিনি উপস্থাপন করতে পারেননি। এছাড়া ২৩ জনকে ৩০ কেজি করে ভিজিডি’র চাল বিতরণের দাবি করলেও জানুয়ারি মাস থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চাল বিতরণের কোন মাস্টার রোল দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া সকল চাল বিতরণই করা হয়েছে নির্ধারিত ট্যাগ অফিসার, ইউপি সচিব ও এনজিও প্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে। তাদের অনুপস্থিতিতে চাল বিতরণ ইউপি চেয়ারম্যানের এখতিয়ার বহির্ভূত।
এসব অপরাধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের তপসিল বহির্ভূত হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধ বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ৩(২) ধারা মোতাবেক নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাত রানা।
শুরুতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে উপস্থিত থাকলেও পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুখলিছ মিয়া।
Leave a reply