করোনায় বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি টালমাটাল চাকরির বাজারও। টানা লকডাউনে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে বিমানখাতে। দীর্ঘদিন বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকায় অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে। সংসার চালাতে কেবিন ক্রুদের কেউ খাবার সরবরাহ কাজে যোগ দিয়েছেন আবার কেউ বেছে নিয়েছেন হেয়ারড্রাসারের পেশা।
থাই এয়ারের সাবেক কেবিন ক্রু থাওয়ানান থাওর্নফাতওরাকুল বলেন, কেবিন ক্রু থাকতে চুল কাটায় বেশ দক্ষ ছিলাম। অবসরে বন্ধুদের চুল কেটে দিতাম। উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন শখটাই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। বাসাতেই চুল কাটছি। এতে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারের কিছুটা সহযোগিতা করতে পারছি।
থাওয়ানানের মতো থাইল্যান্ডে পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন আরও অনেকে। কোসিত রাত্তানাসপোন তাদেরই একজন। কেবিন ক্রু থেকে এখন খাবার ডেলিভারি বয়। জানালেন অনলাইনে অর্ডার নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। বললেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত বসে থাকার সুযোগ নেই।
থাই এয়ারের আরেক কেবিন ক্রু কোসিত রাত্তানাসপোন বলেন, জানিনা কবে আবার আকাশে উড়তে পারবো। আর কবে থেকেইবা আয় রোজগার করতে পারবো। এতো দিন তো আর ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই নতুন কিছু খুজছিলাম। খাদ্য সরবরাহ এই মুহূর্তে আমার কাছে নিরাপদ মনে হয়েছে।
শুধু বিমানখাতেই নয়, করোনায় কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সব পেশার মানুষ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ক্ষুদ্র ব্যাসায়ীরা। এমনকি টানা লোকসানে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
Leave a reply